বাংলা ১৪২০ সালের শেষ দিন আজ।অন্যকথায় চৈত্র মাসের শেষ দিন।চিরায়ত বাঙালি সমাজে এই দিনটিকে চৈত্র সংক্রান্তি হিসেবে পালন করা হয় ।
সনাতন ধর্মের প্রাচীন গ্রন্থ পুরানে ২৭ টি নক্ষত্রের নাম আছে।এ গ্রন্থে
প্রজাপতি তথা রাজা দক্ষের সব কন্যাকে চন্দ্রের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার কাহিনী
আছে।দক্ষের এক কন্যার নাম চিত্রা।এই চিত্রার নামানুসারে বাংলা মাস চৈত্র
রাখা হয়েছে।আরেক কন্যা বিশাখার নামানুসারে বাংলা প্রথম মাস বৈশাখ নামকরণ
করা হয়।
হাজার বছরের বাঙালি
সংস্কৃতি পাঠ করে যেটা জানা যায় তা হচ্ছে,বাঙালির নববর্ষ জাতীয় অনুষ্ঠানাদী
মূলত এই চৈত্রের শেষ দিনটিতে হতো।মেলা,পার্বণ,চড়ক,গাজন ইত্যাদি ছিল চৈত্র
সংক্রান্তি পালনের উত্সব।এই দিনে বাঙালি সনাতনধর্মী,ইসলামধর্মী,বৌদ্ধ ও
নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীরা নানা উত্সব ও আনন্দে মেতে উঠতো।অধিকাংশ গ্রামীণ
সমাজে এই দিন ভালো রান্না হতো।নানা জাতের মাছ,লাউ,ভর্তা দিয়ে পরিবারের সবাই
একসঙ্গে খাওয়াটা ছিল সত্যিকারের বাঙালি সংস্কৃতি।
সম্রাট আকবর যখন উপমহাদেশের ক্ষমতাসীন।তখন তিনি যে বাংলা সন প্রবর্তন করেন তাতে বৈশাখ চলে আসে প্রথম মাস হিসেবে।এরপর থেকেই মূলত বছরের প্রথম দিন ইত্যাদি ধারনা আসে।আর রবীন্দ্রনাথের মত পাশ্চাত্য ঘেঁষা সাহিত্যিকদের বৈশাখ নিয়ে মাতামাতির ফলাফল দাঁড়ায় বাঙালির আসল উত্সব চৈত্র সংক্রান্তিকে ঢেকে রেখে 'পহেলা বৈশাখ'উদযাপন।
ঐতিহাসিক তথ্য মতে বাঙালির আনন্দ ও বেদনা মূলত বর্ষা কেন্দ্রিক।বর্ষায় বৃষ্টিতে নতুন ফসল উত্পাদন করার একটা হিড়িক পড়ে যায়।গ্রাম্যবধূর ভালো লাগা,প্রেম বর্ষাকে ঘিরে।গ্রীষ্মের কোন স্থান সেখানে নেই।গ্রীষ্ম হচ্ছে পুঁজিবাদী,ভোগবাদী আম ও জাম পাগলদের জন্য।বরং গ্রামীণ জীবনে হেমন্তও অত্যন্ত তাত্পর্য বহন করে।নতুন ধান কাটার মাধ্যমে বাঙালির রক্তে এসময় নতুন চালের গন্ধ বেরোয়।
চৈত্র মাসের কাঠফাটা রোদ থেকে মুক্তির জন্য আমরা প্রার্থনা করি।আমরা চাই সনাতনধর্মীদের নয়,সমগ্র বাঙালির শাশ্বত চৈত্র সংক্রান্তি।আমরা চাই একদিন নয় প্রতিদিন বাঙালি হওয়ার বাসনা জাগুক আমাদের মধ্যে।আমরা চাইনা সংস্কৃতি নিয়ে পুঁজিবাদীদের নষ্ট খেলা।
প্রকৃত বাঙালির উত্সব হচ্ছে নবান্ন উত্সব,বর্ষাবরণ আমাদের উত্সব ,চৈত্র সংক্রান্তিতে আমাদের পাওয়া যায়।শীতের পিঠা ও রস,কলাই ও মসুরের এবং শর্ষে ফুল আমাদের।
সবাইকে ১৪২০ এর শেষ দিনটায় শুভেচ্ছা।
১৩ এপ্রিল, ২০১৪।
সম্রাট আকবর যখন উপমহাদেশের ক্ষমতাসীন।তখন তিনি যে বাংলা সন প্রবর্তন করেন তাতে বৈশাখ চলে আসে প্রথম মাস হিসেবে।এরপর থেকেই মূলত বছরের প্রথম দিন ইত্যাদি ধারনা আসে।আর রবীন্দ্রনাথের মত পাশ্চাত্য ঘেঁষা সাহিত্যিকদের বৈশাখ নিয়ে মাতামাতির ফলাফল দাঁড়ায় বাঙালির আসল উত্সব চৈত্র সংক্রান্তিকে ঢেকে রেখে 'পহেলা বৈশাখ'উদযাপন।
ঐতিহাসিক তথ্য মতে বাঙালির আনন্দ ও বেদনা মূলত বর্ষা কেন্দ্রিক।বর্ষায় বৃষ্টিতে নতুন ফসল উত্পাদন করার একটা হিড়িক পড়ে যায়।গ্রাম্যবধূর ভালো লাগা,প্রেম বর্ষাকে ঘিরে।গ্রীষ্মের কোন স্থান সেখানে নেই।গ্রীষ্ম হচ্ছে পুঁজিবাদী,ভোগবাদী আম ও জাম পাগলদের জন্য।বরং গ্রামীণ জীবনে হেমন্তও অত্যন্ত তাত্পর্য বহন করে।নতুন ধান কাটার মাধ্যমে বাঙালির রক্তে এসময় নতুন চালের গন্ধ বেরোয়।
চৈত্র মাসের কাঠফাটা রোদ থেকে মুক্তির জন্য আমরা প্রার্থনা করি।আমরা চাই সনাতনধর্মীদের নয়,সমগ্র বাঙালির শাশ্বত চৈত্র সংক্রান্তি।আমরা চাই একদিন নয় প্রতিদিন বাঙালি হওয়ার বাসনা জাগুক আমাদের মধ্যে।আমরা চাইনা সংস্কৃতি নিয়ে পুঁজিবাদীদের নষ্ট খেলা।
প্রকৃত বাঙালির উত্সব হচ্ছে নবান্ন উত্সব,বর্ষাবরণ আমাদের উত্সব ,চৈত্র সংক্রান্তিতে আমাদের পাওয়া যায়।শীতের পিঠা ও রস,কলাই ও মসুরের এবং শর্ষে ফুল আমাদের।
সবাইকে ১৪২০ এর শেষ দিনটায় শুভেচ্ছা।
১৩ এপ্রিল, ২০১৪।
