সর্বশেষ

ট্রাম্পের সৌদি আরব সফর: অস্ত্র, যুদ্ধ, জোট ও বিশ্ব রাজনীতির মঞ্চ মধ্যপ্রাচ্য় পাঠ

ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট অবস্থায় প্রথম সফরটি করলেন সৌদি আরবে। বিষয়টি এত সহজে দেখলে হবেনা। এর পলিটিক্যাল ইকোনমি গভীরে। এটার গুরুত্ব বুঝেছে ইরান ও রাশিয়া। এ দুই দেশের প্রোপাগাণ্ডা মিডিয়ায় চোখ বুলালে টের পাবেন ট্রাম্পের এই সফর কতটা গুরুত্বপূর্ণ। সৌদি আরবের আল আরাবিয়া টেলিভিশনে ট্রাম্পের সেীদি আরবে যাওয়া থেকে শুরু করে অস্ত্র নাচ ঐতিহ্য উপভোগ, কিং আব্দুল আজিজ মেডেল প্রাপ্তি, বাদশাহ সালমানের পাশে হাঁটা, যাদুঘর পরিদর্শন, মেলানিয়াকে নিয়ে খেজুর ও সৌদি পিঠা খাওয়া, চুক্তি সাক্ষর খুব মনোযোগ দিয়ে দেখলাম। ট্রাম্প এতো ধনী কিন্তু সৌদি সাজসজ্জা, পোশাক ও স্থাপত্যের আভিজাত্য দেখে বারবার সেই বিস্মিত মুখ কামড় দিচ্ছিল। একবার তো মেলানিয়া বাম হাত দিয়ে খাবার নেয়ায় বাদশাহ সরাসরি বলে দিলেন যে, ডান হাত দিয়ে খাবার নেয়া উচিত কেউ দিলে। ট্রাম্প বাদশাহর সাথে সুর মিলিয়ে উচ্চস্বরে বলেন, অলয়েজ রাইট হ্যান্ড..।

আসল কথা আসি। এই সফরের তাৎপর্য কি তাহলে? এ সফরের রাজনৈতিক অর্থনীতি কি? চলুন ভেতরে যাওয়া যাক। (দেখুন বনানীর জোড়া ধর্ষণের প্রতিবাদে নারীরা প্রতিবাদ মিছিল করছে)
১। মুসলিম সমর্থন ছাড়া সুপারপাওয়ারগিরি চলবেনা বিশ্বে যত বড় সুপার পাওয়ার আসুক তাকে মুসলিমদের সাথে বোঝাপোড়া করেই টিকে থাকতে হবে। মিডিয়া দিয়ে মুসলিমদের প্রান্তীকরণ করে বিশ্বের সবচেয়ে বড় জনগোষ্টী এবং সম্পদের অধিকারীর শক্তি ক্ষুন্ন করা যাবেনা। ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় থাকতে খুব বড় বড় কথা বলেছিল ‘ইসলাম খারাপ। মুসলিমরা খারাপ’। কিন্তু রাজনৈতিক বক্তৃতা আর ক্ষমতায় গিয়ে দেশ শাসন এক না সেটি তিনি ভাল করে বুঝেছেন । ফলে সেীদি আরবের ভূরাজনৈতিক গুরুত্ব বুঝে তিনি এ রাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক মজবুত করতে চান। কারণ মধ্যপ্রাচ্যে না শুধু, মুসলিমদের একটি বিশা্ল অংশের সমর্থন পেতে হলে সৌদি আরবের সমর্থন লাগবে। এমনিতেই মুসলিম বিরোধীতার যে কুখ্যাতি ট্রাম্পের তা থেকে মুক্তি পেতে সেীদি আরবের সাথে সখ্যতা গড়তে চায় ট্রাম্প প্রশাসন।

২। ওবামা থেকে ট্রাম্প সৌদির কাছে উত্তম এবার আসি অন্য প্রশ্নে। ডোনাল্ড ট্রাম্পকে কেন সৌদি আরব এতোটা রাজকীয় সম্মাননা দিলো? প্রেসিডেন্ট ওবামা মধ্যপ্রাচ্যে সেীদি আরবের মিত্র হুসনি মুবারক, বেন আলী, আলী আকবর সালেহর পতন ঠেকাতে পারেনি। বরং কথিত আরব বসন্তকে স্বাগত জানিয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পকে তাই ওবামার থেকে ভাল ভাবে নিজেদের করে পেতে চায় সৌদি আরব। সে কারণেই এমন জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বরণ করে নিলো সেীদি আরব। ওবামা ও হিলারী থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্প আল সৌদদের কাছে উত্তম।

৩। ট্রাম্প পেলেন সৌদি সোনার মেডেল(কাব্যনাট্য: বাংলাদেশকে এমন পরাশক্তি হিসেবে কেউ উপস্থাপন করেনি।) প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে যখন কিং আব্দুল আজিজ মেডেল দেয়া হয় সেই ক্ষণটির ভিডিওটি ভাল করে দেখলাম। পুরো মেডেলটি স্বর্ণের। এর পরিমাণ এত বেশি যে ট্রাম্প একবার যেন ঝুঁকে পড়লেন। ট্রাম্পের জীবনে এত সোনা একসাথে সে পায়নি বোঝা যায়। সৌদি আরবের রাজকীয় এই সংবর্ধনার ফল বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র চুক্তি।
৪। ১১০ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র চুক্তি
আল আরাবিয়া অনলাইন ভার্সনের মতে, সৌদি আরব ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র চুক্তির পরিমাণ প্রায় ১১০ বিলিয়ন ডলার। এই পরিমাণ অর্থে অস্ত্র আমদানী পৃথিবীতে এর আগে কোন জাতি বা রাষ্ট্র করেন। এর কারণ কি? কারণ হচ্ছে সৌদি আরব বর্তমান সময়ে মুসলিম বিশ্বের নেতৃত্বের যে ঝাণ্ডা ধরে আছে তা দুটি দেশের দ্বারা প্রবলভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। (ভিডিও: ফুলকুচি বা টেঁটা দিয়ে এক কোপে মাছ মারলো ছেলেটি: ক্লিক করুন) এক নম্বর দেশ হচ্ছে তুরস্ক এবং দুই নম্বর দেশ ইরান। এই দুই দেশও মুসলিম সাম্রাজ্যের স্বপ্নে বিভোর এবং তারা সৌদি আরবের আঞ্চলিক শক্তিকে একাধিকবার চ্যালেঞ্জ করে বিজয়ীও হয়েছে। কিন্তু তুর্কিদের নিয়ে সৌদিদের আতঙ্ক কম। কারণ এই উভয় জাতিই সুন্নী মতাদর্শী। দিনশেষে এদের মধ্যে সংঘর্ষের সম্ভাবনা কম। কিন্তু ইরান? ইরানের সাথে সম্ভাবনা বেশি। বুঝি এই যুদ্ধে জড়িয়ে পড়লো ইরান ও সৌদি আরব।

ইহুদীবাদী ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় এসেই ইরানের সাথে ওবামা-হিলারীর করা পরমাণু চুক্তিকে ভেঙে দেয়। ফের ইরানের উপর অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ করে ট্রাম্প প্রশাসন। এক্ষেত্রে ইসরাঈলের পরে সবচেয়ে বেশি খুশি হয় সৌদি আরব। কারণ ইরান আঞ্চলিক ক্ষেত্রে সৌদি নিরাপত্তা ও নেতৃত্ত্বকে বারবার চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে। সিরিয়ায় সেীদি আরব সরাসরি বাশার আল আসাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও অর্থ দিয়ে সহায়তা করে। ইরান ও রাশিয়া জোট তা থামিয়ে দিয়েছে। জায়েদি শিয়া হুথি যাদের বিশ্বাস সুন্নীদের কাছাকাছি তারা সৌদি আরবপন্থী ইয়েমেনী শাসক সালেহকে হটিয়ে ইয়েমেনের বিশাল অংশ দখল করে নিয়েছে। সৌদি আরব হুথিদের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। অন্যদিকে ইরানের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, হুথিদের সহায়তা দেয়ার। এ কারণে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের সাথে চুক্তি বাতিলের ঘোষণা দিলে ইসরাাঈলেরে মত খুশী হয় সৌদি আরব। সেই খুশির ধারাবাহিকতাই ট্রাম্পের সৌদি আরব সফর। ইরান বনাম সৌদি দ্বন্দ্ব: চলছে, চলবে।
৬। কিং সালমান+ ডোনাল্ড ট্রাম্প: এ বাঁধন কদিনের? মার্কিন সেক্রেটারি অব দ্যা স্টেট টিলারসন স্পষ্ট বলেছেন প্রিন্স জুবায়েরের সঙ্গে অস্ত্র চুক্তিতে সাক্ষর করার সময় যে, ‘শয়তান’ ইরানের প্রভাব ক্ষুন্ন করে এ অঞ্চলে সৌদি আরবের প্রভাব বৃদ্ধি করতেই এ চুক্তি। সব মিলিয়ে এ সফলে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রায় সাড়ে তিন শ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য চুক্তি করবেন। এ বিষয়টি রাশিয়া ও ইরানকে ভাবিয়ে তুলেছে। কারণ বিশ্বের মন্দা ও দুর্ভোগ কখনো সৌদি আরবকে ছুঁয়ে যায়না। কারণ অঢেল তেল ও স্বর্ণ এই জাতির অর্থনীতিকে দুর্ভেদ্য করেছে। (ভিডিও: সেন্টমার্টিন্সের অবর্ণনীয় এক রূপ! মিডিয়া দেখায়না) এখন সৌদি আরবের সাথে ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই দহরম মহরম কয় দিন থাকে সেটি দেখার বিষয়। তবে আমার মতে থাকার সম্ভাবনা বেশি। কারণ, সৌদি আরব ও ইসরাঈলে মধ্যে সম্পর্ক চমৎকার। সেই সম্পর্কটিই ট্রাম্প ও সালমানকে এক জোটে রাখবে। কারণ সেীদি আরব ও হোয়াইট হাউজ উভয়ের প্রভু বাস করে তেল আবিভে। মূল নির্দেশটা উভয়েই পালন করে ইহুদীদের থেকে। আবার যদি বাদশাহ ফয়সালের মত বিবেকসম্পন্ন মানুষের উত্থান ঘটে সৌদি আরবে তবে ট্রাম্প ও ইসরাঈল উভয়ে বিপদে পড়বে। কারণ সেই লোক এসে প্রথম জোটটি গঠন করবে ইরান-তুরস্ক-বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া-ইন্দোনেশিয়া -পাকিস্তানের সাথে। আর এই জোট হলে তা পৃথিবীর যে কোন সামরিক বা অর্থনৈতিক শক্তিকে চ্যালেঞ্জ করে ধ্বসিয়ে দেয়ার ক্ষমতা রাখে।

৭। সৌদি আরবের কূটনৈতিক বিচক্ষণতা (Click to Watch:সেন্টমার্টিন যাওয়ার আগে প্লিজ একটিবারের জন্য হলেও এই ভিডিওটি দেখে যাবেন) সৌদি আরবের শাসকেরা ইদানিং কূটনীতির ক্ষেত্রে স্বাবলম্বীতার পরিচয় দিচ্ছে। ট্রাম্পের সাথে মুসলিম বিশ্বের ঝামেলার কথা তারা জানে। সে কারণে ট্রাম্পের এই সফরেই বিশ্বের সুন্নী প্রধান মুসলিম রাষ্ট্রগুলোকে নিয়ে একটি সম্মেলনের আয়োজন করেছে সৌদি আরব। রিয়াদে অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে সৌদি আরবের চেষ্টা থাকবে বাকি মুসলিম দেশগুলোর সাথে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্পর্ককে উষ্ণ করা। সেটি কতটুকু হবে তা যতটা না ভাবনার তারচেয়ে বড় বিষয় এমন কূটনৈতিক সিদ্ধান্ত সত্যিই বুদ্ধিমত্তার পরিচায়ক। এ সম্মেলনে তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রীও যোগ দিয়েছেন বলে আনাদলু এজেন্সি খবর দিয়েছে।
৮। উপসাগরীয় আরবীয় দেশগুলোও আছে

সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্রের সাথে এই সফরেই উপসাগরীয় রাষ্ট্রগুলোর সম্মেলন হবে। অর্থাৎ কাতার, বাহরাইন, আরব আমিরাত, ওমান , ইয়েমেনকে নিয়েও পৃথক অর্থনৈতিক ও সামরিক জোট গঠন করবে সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্র। এ সবের উদ্দেশ্য সৌদি আরব ও তার মিত্রদের শক্তিশালী করা নয়। বরং ইসরাঈল বিরোধী শক্তিশালী ইরানকে চাপে রাখা। মধ্যপ্রাচ্যে ও পারস্য উপসাগরে বিগত বছর দশেক ইরান যে শক্তি জমিয়েছে তা সমগ্র আরব জাতি এক হয়ে জমাতে পারেনি। এখন পশ্চিমারা চাচ্ছে যেভাবেই হোক আগ্র্রাসী ইরানকে শায়েস্তা করতে। প্রক্সি হিসেবে আইএস পুতুলে কাজ হয়নি বলে এখন সরাসরি সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন জোট দিয়ে চেষ্টা করছে।

৯। সৌদি ইরান সংঘাত: বাংলাদেশ কোন পক্ষে যাবে?
এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের আপাতত চুপ থাকা ভাল। কারণ সৌদি আরব বাংলাদেশকে যেমন তার পক্ষে চায়, ইরানও তেমন চায়। এই দুই দেশই জানে ১৬ কোটি বাংলাদেশীর বিপুল শক্তির কথা। বাংলাদেশকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে খুব ভেবে। মনে রাখতে হবে বাংলাদেশের বৈদেশিক উপার্জনের একটি বিশাল অঙ্ক আসে সৌদি আরব থেকে এবং সৌদি প্রভাবে থাকা আরব রাষ্ট্রগুলো থেকে। সৌদি আরব যদি জোট গঠন করে তবে আমাদের সেখানে থাকা উচিত । (ভিডিও: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভ্যানচালক ইমামের একমাত্র পূর্ণাঙ্গ সাক্ষাৎকার) কারণ তা না হলে ৫০ লক্ষ বাংলাদেশীর ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তায় পড়তে পারে। বাংলাদেশ সরকারের প্রস্তাব থাকবে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেবে, তবে মক্কা ও মদিনা পাহারা দেয়ার জন্য। সরাসরি যুদ্ধে আমাদের জড়ানো যাবেনা। এদেশে যারা ইরানের সমর্থন করে, তাদের সমর্থনের পিছনে রাষ্ট্র বাংলাদেশের কোন উপকার নেই। কারণ ইরান বাংলাদেশকে কোন অর্থ সহায়তাও করেনা, ইরান থেকে বৈদেশিক মুদ্রাও আসেনা। বরং ব্যবসায় পটু ইরানীরা আমাদের থেকে আরো অর্থ নেয়। ইরানীদের শিয়া জনগোষ্ঠীর প্রতি অর্থ সহায়তার প্রমাণ আছে। ফিলিস্তিনীদের কিছু প্রযুক্তিও দিয়েছে।

সমাপনী বক্তব্য (জাহাঙ্গীরগর বিশ্ববিদ্যালয়ের র‌্যাগ নিয়ে জানতে চান। এখানে ভিডিও)

এতক্ষণের আলাপের সারমর্ম হচ্ছে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার কট্রর অবস্থান থেকে ধীরে ধীরে সরে আসছেন। তিনি বুঝতে পারছেন পৃথিবী আর একমেরুকেন্দ্রীক নেই যেখানে আমেরিকা সর্বেসর্বা। এখন উত্তর কোরিয়াও আমেরিকাকে উড়িয়ে দেয়ার পাল্টা হুমকি দেয়। ইরানও আমেরিকার সকল ঘাঁটি তার ক্ষেপণাস্ত্রের আওতায় বলে হাঁক দেয়, রাশিয়া তো সরাসরি সিরিয়া যুদ্ধে হস্তক্ষেপ করে আমেরিকাকে চপেটাঘাত করেছে, ইউক্রেনে পশ্চিমা মদদপুষ্টদের তাড়িয়ে দিয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ভেঙে যাচ্ছে, আরো কত কি। এমন পরিস্থিতিতে সুপারপাওয়ার হিসেবে টিকে থাকতে হলে মুসলিমদের সহায়তা ছাড়া সম্ভব না। কারণ ইসরাঈল বা ইহুদীরা স্বার্থপর। নিজেদের স্বার্থ ছাড়া ওরা তেল আবিভ ছেড়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে অর্থনৈতিক বা বাণিজ্যিক সহায়তা করতে আসবেনা। (VIDEO : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধ, কবর, পৈতৃক বাড়ি দেখুন)) আছে শুধু পুরোনো বন্ধু সৌদি আরব। সেই সৌদি আরবের কাছেই ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ফিরে আসতে হলো, নির্বাচনী প্রচারণায় যে সৌদি আরবকে গালি-গালাজ করতো ট্রাম্প ও্ রিপাবলিকানরা। দেখা যক কি হয়। আমার মনে হয়, মধ্যপ্রাচ্য ফের অশান্ত হবে। কারণ স্পষ্ট: ইরান ও সৌদি আরব কেউ কাউকে ছাড় দেবেনা। আরবরা এতটাই গোঁয়ার যে, ইহুদীদের ওরা বন্ধুরূপে গ্রহণ করেছে তবে পারস্যদের না। সেই ধারাবাহিকতা এখনও চলছে। কিন্তু তাকে কি সামগ্রীক মুসলিম বিশ্বের কোন উপকার হয়েছে? কি করেছে সৌদি আরব ফিলিস্তিনীদের জন্য? কি করেছে সেীদি আরব ও ইরান আরাকানের রোহিঙ্গাদের জন্য?

সকলেই নিপীড়িত মুসলিমদের নিজ নিজ স্বার্থ উদ্ধারে ব্যবহার করছে। পৃথিবীর সকল নিপীড়ণকারীর পতন হোক। মানবতা মুক্তি পাক। অস্ত্রের প্রতিযোগিতাটি প্রতিস্থাপিত হোক শান্তির প্রতিযোগিতা দিয়ে।
পাঠ অনুভূতি