সর্বশেষ

ঢাকা কলেজ: সংগ্রাম, স্মৃতি, দেশ ও মানুষ গড়ার আঁতুরঘর

ঐতিহ্যবাহী ঢাকা কলেজের প্রবেশদ্বার।

যখন ঢাকা কলেজে পড়তাম তখন জীবন ছিল অন্যরকম।একদম বাঁধভাঙা উল্লাস।হলরুম থেকে টিভিরুম,ডাইনিং থেকে সেন্ট্রাল ফিল্ড,মেইনগেট থেকে বড় পুকুর সবখানে মুক্ত বিহঙ্গের মত বিচরণ ছিল।(ভিডিও: যে ইভটিজিং করে তার বোনকেও যদি কেউ ইভটিজিং করে কেমন লাগে তখন?)জীবনের সবচেয়ে ইতিবাচক শিক্ষাগুলো এখান থেকে পেয়েছি।মানসিকতাও অনেক প্রসারিত হয়েছে।আমরা যখন পড়তাম তখনও চেইন অব কম্যান্ড এবং কার্টেসির ঘাটতি ছিলনা।আমরা ইন্টারমিডিয়েটের ছিলাম,অনার্স ও মাস্টার্সের বড় ভাইরা খুবই আদর করতো আমাদের।রাজনীতি করা বড় ভাইয়েরা ছিল একেকজন সত্যিকার বড় ভাই।ইন্টারমিডিয়েটে পড়ার পরও আমাদের কিছু হলে আপন ছোটভাইয়ের মত ভেবে দৌড়ে আসতেন তারা।ছাত্রলীগ নেতা টিটু ভাই,রনি ভাই,তারেক ভাই,সোহেল ভাই,বাবলু ভাই,লিওন ভাই এবং সুইম ভাই খুবই আদর করতেন।আমি ছিলাম নর্থ হলে।আমাদের হাউজ টিউটর হুমায়ূন কবির স্যার ছিলেন মাটির মানুষ।কত যে খেলেছি ক্রিকেট কলেজে।আহা!সেই সব দিন!(ভিডিও: ১৮ টা বিয়ে করার পর ছেলেটার আহাজারি শুনুন)
আজ হঠাত্‍ করে ঢাকা কলেজের কথা মনে পড়ছে। বাংলাদেশের অল্প কয়েকটি প্রতিষ্ঠান আছে যার নামের পাশে অবশ্যই ‘ঐতিহ্যবাহী’ লিখতে ও বলতে হয়। ঢাকা কলেজ তার মধ্যে সবচেয়ে উজ্জ্বল নাম। আমি গর্বিত আমি ঢাকা কলেজের একজন ছাত্র। এমন চাঁদনী রাতে সোহেল,সাইফুল,রকিব,তাইজুল,শাহনেওয়াজ, মাইনুর সাথে মাঠে বসে গোল হয়ে চাঁদ দেখতাম।শাঁখারী ব্লকের আশিক, নোমান, কামরুল, ডালিম, শাওন ও প্রিয় শাহাদাত্‍ ছিল গল্পের জন্য।ছিল তোহিদ,রাব্বী, সমর এবং শোভন।শাহনেওয়াজ ও জনি ছিল আমার দেখা পৃথিবীর সেরা মানুষগুলোর দুইজন।জনিকে নিয়ে এক রাতে ঢাকা ঘুরে সে যে কি বিপত্তি।(ভিডিও: মাশরাফির অবসর নিয়ে ভক্তদের আহাজারি দেখুন! অবসর মানেনা তারা) আর শাহনেওয়াজ ছিল এক দুঃখী দার্শনিক। একটা জানোয়ার তার জীবন নিয়ে বেঈমানি করেছিল। সেই অসভ্য, ছোটলোক, ফাওখোর, চরিত্রহীন কোনদিন আমরা ক্ষমা করবোনা বলে বন্ধুরা সম্মিলিত সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। আর আমাদের সবার প্রিয় এক বড় ভাই ছিল আলা ভাই।নড়াইলের ছেলে।কম্যুনিস্ট এবং ক্রিকেটার।মজার এক মানুষ।আমার আর আলাউদ্দিন ভাইয়ের সাথে দিন দুনিয়ার এমন কোন বিষয় নেই যা নিয়ে কথা না হতো।কখনো সাথে থাকতো ছোটভাই ফরহাদ বা সাকা।কখনো থাকতো মাটির মানুষ সাইফুল বা রাসেল।কখনো আবার সোহেল।আজ সবাই বড় হয়ে গেছে।কেউ হয়তো ব্যবসা বা চাকরীও করছে, কেউ জীবনের মাঠে জীবনের সাথে যুদ্ধরত। সাইফুলের মত ভাল মানুষ পৃথিবীতে দ্বিতীয়টি নেই। মানুষের জন্য নিবেদিত এমন মানব এই জগতে আর নেই বললেই চলে।(ভিডিও: টেঁটা বা ফুলকুচি দিয়ে মাছ কোপানো) ছিল রানা। চিকন-চাকন ছেলেটি বলতো, ওর বাবা বলেছে, থুথু খেয়ে ফেলতে, ঘন ঘন থুথু ফেললে নাকি শরীরের জন্য ক্ষতি হয়। ছেলে আজিজ। যে এখন ডাক্তার, যে দাঁত না ব্রাশ করলেও কখনোই গন্ধ আসতোনা।

ছিল শোভন, যে আমাদের চেয়ে পরিপক্ব ছিল এবং এখন ছা্ত্রলীগের সফল নেতা। ছিল মিজান দাদা, যে এখন মাল্টিপ্লানে চাকরি করে। ছিল রাব্বি, যারা তীক্ষ্ণ বুদ্ধির জন্য এবং কোঁকড়া চুলের জন্য আমরা আইনস্টাইন বলতাম। মাহাবুব রিমন নামের বরিশালের একটা ভাই ছিল।(ভিডিও: সেইন্টমার্টিন দ্বীপের অপ্রকাশিত রূপ! দেখলে হৃদয় কেঁপে উঠবে) অনেক বই পড়তো। উনার কাছ থেকে বই আনতাম। খুব স্নেহ করতেন। ভাই এখন ক্রীড়া সাংবাদিই। নোমান ছিল, খুবই মিশুক। একদিন বই কিনে আনছে নীলক্ষেত থেকে। বিশ্বের ১০০ টি  বিখ্যাত ‘উত্তেজনাকর গল্প’। হাসতে হাসতে মরি আমরা। নোমান এখন দর্শনে পোস্টগ্রাজুয়েট। ছিল তাইজুল। ওরে যে পরিমাণ জ্বালাইছি আমরা তা বলে শেষ করা যাবেনা। সেই বন্ধু এখন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। আমরা এক হয়ে তার পাশে দাঁড়িয়েছি। আল্লাহ ভরসা ।(কাব্যনাট্য: বাংলাদেশ, বাংলা ও বাঙালি) সে ভাল হয়ে যাবে দোয়া করি। ছিল মণিপুরী স্কুলের থেকে বের হয়ে আসা দাদা শাহাদাৎ। ছিল আমার প্রাণের চেয়ে প্রিয় বন্ধু সোহেল খান, যে হিটার জ্বেলে সিগারেট জ্বালতো। ঘুম থেকে দেরি করে উঠার কারণে যে এক বছর ফাইনাল পরীক্ষা দিতে পারেনি। ছিল আশিক, প্রেমিক পুরুষ। ছিল আমার রুমমেট শাহাদাত, যে ফেরেশতার মত নিষ্পাপ ছিল। ছিল মিজান, যে ছাত্রদল করতো। খুবই পরিশ্রমী ও মিশুক ছেলে। ভাল মনের মানুষ। ছিল রাজশাহীর সোহেল। এমন সরল ছেলে বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে আর একটাও পাইনি। তাঁরে দেখেই মূলত ধারণা জন্মেছিল, উত্তরাঞ্চলের মানুষ ভাল হয়।(ভিডিও: সেইন্টমার্টিন্স দ্বীপের মিডিয়ায় না আসা এক হৃদয়বিদারক রূপ) কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে তার প্রমাণ খুব কম পেয়েছি। আমার বন্ধু সাইফুল ছিল। ঢাকার ছেলে। এখন রাশিয়া পড়ছে বৃত্তি নিয়ে। প্রেম করতো একুশে টিভির কিশোর সংবাদের সঙ্গে যুক্ত এক মেয়ের সঙ্গে। ওর কাছ থেকে প্রথম জানি, ঢাকায় অনেক মেয়ে আছে যারা সিংগের। সজল ছিল মেধাবী, সাগর ছিল। সাদমান সাকিফ সাইফ ছিল, লিখতো সিফ। মেয়েদের মত সুন্দর ছিল বলে ওরে খ্যাপাতো বন্ধুরা। এমন আরো কত যে বিচিত্র মানুষ ছিল ঢাকা কলেজে। তারাই, তাদের একেকজন আমার একেকটি শিক্ষালয় ছিল। আমি তাদের ভুলবোনা কোনকালেও।
প্রিয় ঢাকা কলেজের মূল ভবন। দেখলেই প্রাণটা ভরে যায়। কিন্তু কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ব্যবহার চামারের মত। তাদের দৌরাত্ম শেষ কবে হবে?

রাজনীতি যারা করতেন তার মধ্যে টিটু ভাই, তারেক ভাই, রনি ভাই, সুইম ভাই, বাবলু ভাই ভাল জানতেন খুবই। সুইম ভাই তো রাত দিন আমাদের নিয়ে আনন্দ করতেন। আমরা বলাবলি করতাম, নেতা হলে সুইম ভাইয়ের মত হতে হবে। সবাইকে আপন ছোটভাইয়ের মত আদর করতেন তিনি। পরে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হয়েছেন ভাই। আমার সাথে দীর্ঘ দিন পর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে দেখা হলে ভাইয়ের বুকে ঝাঁপিয়ে পড়ি। আহ! যেন ঢাকা কলেজেরই বুকে গেলাম! ভাই বললেন, তোরে ও তোদের খুব মিস করিরে..!
(ভিডিও: সেইন্টমার্টিন দ্বীপের এক অপ্রকাশিত কথা..মিডিয়ায় এসব আসেনা!
আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘ ইউনিটে চান্স পেয়েছিলাম। পরিবারের অমতে সেখানে ভর্তি হইনি। কিন্তু ঢাকা কলেজে পড়ার কারণেই সেই বিষয়টি আমাকে প্রবলভাবে আহত করেনি। কারণ ঢাকা কলেজ জ্ঞানের এক মহীসোপান। সব ধরনের মানুষ সেখানে আছে, সব ধরনের পরিস্থিতি সেখানে আছে। সে এক এমন জগৎ যা সেখানে যারা না থেকেছে, না পড়েছে তারা বুঝবেনা।
আর আমি এখনো ছাত্র।পড়ি।জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে।এখানে বিচিত্র মানুষ।সবাই সবার চিন্তায় ব্যস্ত।এখানের সমষ্টিগত চিন্তাভাবনা, আড্ডা, আনন্দ আর ঢাকা কলেজের চিন্তাভাবনা,আড্ডা,আনন্দ এক না।যে একবার ঢাকা কলেজে পড়েছে, হলে থেকেছে, নিউমার্কেটের জাফর চাচার চা খেয়েছে, যে ভোর রাতে সায়েন্স ল্যাবের ওভারব্রিজে দাঁড়িয়ে জোছনায় নেয়েছে, যে ঢাকার ব্যস্ততম সড়কের ঠিক মাঝখানে বসে 'আশি রাইতে ভবের মাজারে' গেয়েছে তার জন্য পৃথিবীর আর কোন ক্যাম্পাসকে সবচেয়ে বেশি ভালবাসা দুঃসাধ্য ব্যাপার।চিরকাল অবিনশ্বর হয়ে টিকে থাকো (ভিডিও: বান্টি মীর কাঁদতে কাঁদতে হুমায়ূন আহমেদের বউ শাওনের কাছে মাফ চাচ্ছে)বাংলাদেশের বুকে, প্রিয় কলেজ আমার। আমার আমিত্ত্বের স্রষ্টা #ঢাকা#কলেজ । সফল,দারুন ও সৃজনশীল মানুষ উত্‍পাদন করো চিরন্তন 'নিজেকে জানো' এর দীক্ষায়।
আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগের শিক্ষক সম্মানিত শেখ আদনান ফাহাদ। তিনি ও তাঁর পিতা উভয়েই ঢাকা কলেজে পড়েছেন। স্যারের কাছ থেকে  জেনেছি এদেশের প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে কিভাবে ঢাকা কলেজের ছেলেদের রক্ত মেখে আছে। তিনি বলেন, ঢাকা কলেজ এক আবেগের নাম। স্যারও শাঁখারী ব্লকে থাকতেন। এখন ঢাকা থাকেন। তাঁর সন্তান রয়েছে। পড়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে।(ভিডিও: বাংলাদেশের যে কোন পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস বিষয়ক এই ভিডিও!) তবু তিনি সময় পেলেই চলে যান ঢাকা কলেজে। স্যারের মতে, তাঁকে জীবন ‍ও মানুষের ব্যাপারে অসীম জ্ঞান দিয়েছে ঢাকা কলেজ। আমি ও স্যার যখন কলেজের ব্যাপারে কথা বলি, আমরা আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়ি। কারণ আমরা ঢাকা কলেজকে হৃদয়ে ধারণ করি। আমাদের বিশ্বাস,  এমন সহস্র সাবেক রয়েছে যারা ঢাকা কলেজে কাটানো কৈশোর ও যৌবনের সেই সন্ধিক্ষণের দুর্দান্ত স্মৃতিগুলো রোমন্থন করে কাতর হন।
(ভিডিও: ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ নিয়ে বাংলাদেশের তরুণদের ভাবনা)

ঢাকা কলেজ বাংলাদেশের সৃষ্টির আগেই এই অঞ্চলের মানুষের মধ্যে থেকে সবচেয়ে মেধাবীদের উৎপাদন কারখানা হিসেবে পরিচিত ছিল। আজ যারা ব্রাহ্মণ্যবাদী পৈতা পরে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের ‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের’ শিক্ষার্থী বলে পৈচাশিক উল্লাস করে তারা অজ্ঞ ও অক্ষরজ্ঞানযুক্ত মূর্খ। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রতিটি আন্দোলনে ঢাকা কলেজের ভূমিকা অনন্য।(ভিডিও: ফকির সাহেবের আমি একটা জিন্দা লাশ) সেই ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে এই কলেজই সবার আগে প্রতিবাদ গড়ে তুলেছে। ১৯৭১ সালে ঢাকা কলেজের ছেলেরা বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছে।এই যে সেদিন মঈন-ফখরুদ্দিন যখন ট্যাংক দিয়ে জনগণের অধিকারকে জিম্মি করেছে তখনো ঢাকা কলেজের আমরা মুক্ত কণ্ঠের জন্য মাঠে নেমেছি। ঢাকায় বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন যে মিছিল করে তাকে প্রাণবন্ত করে তোলে ঢাকা কলেজের রাজপথের সন্তানেরা। সুতরাং তাদের ব্যাপারে কথা বলার আগে ভেবেচিন্তে বলবেন।(ভিডিও: এই শিশুটিকে কণ্ঠ দিয়েছেন মহান আল্লাহ! অসাধারণ মাধুরী) ঢাকা কলেজের ভবনে অন্কেরই পড়াশোনা করছেন আজ তাও ভুলে যাবেননা। ১৮৪১ সালে প্রতিষ্ঠিত এই কলেজ পূর্ববাংলায় বিট্রিশ বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সূতিকাগার। এই কলেজের প্রতিটি শিক্ষার্থী ভবিষ্যতের কারিগর। তারা নিজেকে জানে, নিজেকে জানায় কেবল দেশ ও মানুষের প্রয়োজনে।ভালবাসি প্রিয় ঢাকা কলেজকে।

কেমন আছে প্রিয় কলেজ? কেমন আছে নর্থ হল, কেমন আছে পশ্চিম, ফরহাদ, দক্ষিণ ও দক্ষিনায়ন হল? কেমন আছে ইন্টারন্যাশনাল? কেমন আছে ভুট্রু?(ভিডিও: জোড়া ধর্ষণের প্রতিবাদের বিক্ষুব্ধ মেয়েদের মিছিল) কেমন আছে প্রিয় লাল শাপলার লেকটি? কেমন আছে প্রিয় খেলার সবুজ মাঠ? কেমন আছে মসজিদ? ক্যান্টিন? কেমন আমাদের মাথা উঁচু করে থাকা গ্যালারিগুলো? কেমন আছে হৃদয়ের সবচেয়ে ভাললাগার প্রিয় কলেজ, প্রিয় প্রতিষ্ঠান: মানুষ গড়ার কারখানা..। ভালবাসি, অনেক, অনেক এবং অনেক তোমাকে...। নিজেকে জেনেছি। দেখি তুমিই আমি, আমিই তুমি। আমরা মিলেমিশে ঢাকা কলেজ, চিরন্তন লাল-সবুজ পতাকার অতন্দ্র প্রহরী, সেবক ও সন্তান...।

মঈনুল রাকীব
এইচএসসি ২০১০
বিজ্ঞান বিভাগ, এ সেকশন
উত্তর ছাত্রবাস (প্রথম বর্ষে কক্ষ ৩১০ এবং দ্বিতীয় বর্ষে ৩১৩ শাঁখারী ব্লক)
বর্তমানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের স্নাতকোত্তর শ্রেণীতে অধ্যয়নরত।

(২১ জুলাই ২০১৬ লিখিত)।
পাঠ অনুভূতি