আমি ইসলাম বিশেষজ্ঞ নই। আমি পড়াশোনা করি। সাংস্কৃতিক আগ্রাসন, আন্তর্জাতিক রাজনীতি, গণমাধ্যম, যোগাযোগ, মনস্তাত্ত্বিক ইত্যাদি নিয়ে গবেষণা করি। পড়াশোনা করেছি সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগে। একটা ব্যক্তি মালিকানাধীন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছি। সুন্নী হানাফি মুসলিম পরিবারে জন্ম। নিজেকে সুন্নী-শিয়া-হানাফি-ওয়াহাবীতে জড়াইনা। এক ম্যাজিস্ট্রেট বড় ভাই এই ফেসবুক গ্রুপে আমাকে আজ যুক্ত করলেন। এখানে এসে আমি খুবই বিরক্ত। উম্মতের মধ্যে কী জঘন্য বিভাজন তৈরি হয়েছে তার একটি নমুনা পেলাম। ঠিক এই কারণেই আজ ২০০ কোটি মুসলমান ১ কোটি ইহুদীদের হাতে মার খাচ্ছে আর তেলনির্ভর সভ্যতার সব তেলের নিয়ন্ত্রণ থাকার পরেও পশ্চিমা ইহুবাদীদের পদলেহন করছে মুসলমান জাতি। মুসলিম পরিচয় না দিয়ে কেন আপনারা শিয়া বা সুন্নী পরিচয় দেন? আপনাদের আমি বলবো, এভাবে বিভক্ত হয়ে যাইয়েন না। যে বোমটি ইহুদীবাদীরা মারে বা তাদের পুতুল আইএস সন্ত্রাসীরা মারে তাতে শিয়া বা সুন্নী পার্থক্য করে মরে? না মুসলিম মরে? এই শিয়া সুন্নী-বিভাজনের মত ফিৎনা মুসলিমদের মধ্যে খুবই কম আছে।
১।
কেন ঢালাওভাবে শিয়াদের উপর তাকফির করেন? কোন একটি হাদিস পাবেন মহানবী স কোন একটি সম্প্রদায়ের উপর সামষ্টিক তাক্কফির করেছেন? তাকফির যদি সঠিক না হয় এর বিপরীত হয় এটা জানেন? এভাবে শিয়াদের কাফির বলে আইএস সন্ত্রাসীরা তাদের খুন করছে। এ আই এস হচ্ছে মার্কিন সমর্থনপুষ্ট ইসরায়েলের দালাল। এদের আইডিওলজিক্যাল গুরু সৌদি ওয়াহাবিবাদ। আপনারা কখনো সৌদি আরবের মুনাফিক শাসকদের তাকফির করেন যারা ইয়েমেনে সহস্র মানুষ হতা করছে? এই কদিন আগে আরব আমিরাতের থেকে সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা পেলো কাশ্মিরে মুসলিম হত্যায় নেতৃত্ব দেয়া মোদি। সেই আরব আমিরাত নিয়ে ভাবনা কী?
২।
মুসলমানদের নয়, সারা বিশ্বে হক্ব আর বাতলের মধ্যে পার্থক্যকারী হচ্ছে কোরআন। এ কোরআনে আল আকসার কথা আছে। এই আল আকসা মসজিদ একটি স্কেল। কারণ ক্বিয়ামতের আগে অবৈধ ইসরায়েলের হাত থেকে আল আকসা মুক্ত করাকে কেন্দ্র করে ঈসা আ ও মাহদী আ আসবেন। সেই মানদণ্ডে হামাস বা ফিলিস্তিনের পাশে কে আছে আর কে নাই তা দিয়েই তো বোঝা যায় কারা কেমন। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য আমাদের সুন্নীদের সরকারগুলো মজলুম ফিলিস্তিনের পক্ষে নাই। হামাসকে অস্ত্র ও অর্থ দিয়ে সহায়তা করছে ইরান। যে ইরানের অধিকাংশ মানুষ শিয়া(আমি শিয়া পরিচয় দেয়াকে উত্তম আচরণ মনে করিনা)।
৩।
রোহিঙ্গা সংকটের সময় বাংলাদেশের পাশে ইরান দাঁড়ায়নি। এমন কী নিরাপত্তা পরিষদে একটা গুরত্বপূর্ণ ভোটে মিয়ানমারের পাশে দাঁড়ায়। এটা ইরানের ব্যাপারে বিরক্তি তৈরি করে। আবার কাশ্মির ইস্যুতেও ইরান-সৌদি আরব মুখে কুলুপ এঁটেছে। অথচ মুসলিম বিশ্বের নেতৃত্বে আসতে হলে মজলুমের পাশে দাঁডাতে হবে। কিন্তু এ কাজে বিশেষ করে সৌদি আরব নাই।
৪।
অনেকে মহররমে মাতম করে। আমি একে সাংস্কৃতিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখি। এ মাতম অত্যাচারী শাসক ও ভণ্ড ফতোয়াবাজদের চিহ্নিত করতে কাজে লাগানো গেলে ভাল হবে। তবে শরীর থেকে রক্ত বের করা হারাম। এটা আমার কথা না। ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতার ফতোয়া। তাই এ বিষয়ে সাবধান হয়ে শোক প্রকাশ করা যায়। মনে রাখতে হবে, ১০ মহররম অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইসলামে। এই দিন অনেক বড় বড় ঘটনা ঘটেছে, ঘটবে। শুধু কারবালাকেই যেন প্রাধান্য দিয়ে অন্যসব ভুলে না যাওয়া হয়। তবে আমাদের সুন্নী আলেমদের অনেককে দেখি কারবালার দিনের শুক্রবারে জুম আর খুতবায় অত্যাচারী ইয়াজিদ ও খুনীদের মুখোশ উন্মোচন বা অত্যাচারী শাসকের বিরুদ্ধে বিপ্লবের কথা না বলে ইয়াজিদ নামের হুকুমের আসামী বদমায়েশের নামের পরে (রা) বলা যাবে কী না এই আলোচনায় ব্যস্ত থাকে! এটা নবী মুহাম্মাদ (স) এর প্রতি জুলুম। এ জুলুম বন্ধ হওয়া জরুরি। শিয়া বিদ্বেষ ছড়ানোর জন্য সৌদি আরব বাংলাদেশে কোম ধরনের ফান্ডিং করে কী না এ নিয়ে গবেষণা হতে পারে। তবে দেওবন্দের সঙ্গে সৌদি ওহাবী তাকফিরপ্রিয়দের সুসম্পর্কের একটি প্রভাব এখানে থাকতে পারে। শিয়া বিদ্বেষ ছড়ানোর জন্য সৌদি আরব মূলত গোঁড়া ইবনে তাইমিয়া প্রমুখের বই পুস্তককে প্রমোট করে। এ ব্যাপারে সকলের সাবধান থাকা উচিত। আমাদের খিলাফাত ব্যবস্থা ধ্বংসের পিছনে ওয়াহাবী আলেম ও আল সৌদ শরীফদের বড় ধরনের ভূমিকা রয়েছে। আল্লাহ তাদের কঠিনভাবে পাকড়াও করুন।
৫।
যারা আলী রা ও ফাতেমা রা কে অনেক ভালবাসেন দাবী করেন তাদের কিছুতেই উমর রা, উসমান রা ও আবু বকর রা কে গালি দেয়া উচিত নয়। আপনি কোথাও পাবেন না আলী রা, ফাতেমা রা, হুসাইন রা, হাসান রা এঁদের গালি দিয়েছেন। সুতরাং কী দরকার ফিৎনা তৈরি করার। এসব সাহাবী রা আল্লাহর কাছে জবাব দিবেন তাদের কৃতকর্মের জন্য। আমরা মূল্যায়ন করলে যেহেতু ফিৎনা ফ্যাসাদ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা আছে তাই উম্মতের বৃহত্তর কল্যাণে চুপ করে থাকিনা। আয়েশা রা এর উপর আমার অনেক সময় কষ্ট হয়। উনি আলী রা এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন। তথাপি আমার নবী স যাকে ক্ষমা করেছেন, যার জন্য আল্লাহ সুরা নাজিল করেছেন তাঁর প্রতি বিদ্বেষ কেন রাখবো? আবার অনেক 'সুন্নী'(আমি শিয়া বা সুন্নী পরিচিয় দেয়াকে ইসলামসম্মত মনে করিনা) হোসাইন রা কে যারা ভালবাসে তাদের সমালোচনা করেন। এটাও ঠিক না। তাদেরকে ভালবাসতে দিন। তাদেরকে তাদের মত ভালবাসতে দিন। একবার ভাবেন, যাদের নবী মোহাম্মদ স সবচেয়ে বেশি ভালবাসতেন তাদের মুসলিম নামধারীরা জবাই করেছে ফুরাতের তীরে, আর আমি আপনি তাদের জন্য শোকও করতে দিতে চাইনা। এই ইয়াজিদি উমাইয়া ফ্যাসিবাদী ভাবনা কীভাবে আসে? আপনার শরীয়ত নিয়ে এত ভাবনা থাকলে সুন্দরভাবে একে সাংস্কৃতিক উপাদান হিসেবে দেখুন। অর্থাৎ এসব ছোটখাটো বিষয় বাদ দিয়ে আমাদের আসল শত্রু জায়োনিস্টদের দিকে তাকানো উচিত। দেখেন মার্কিন বা ইসরায়েলী বা রাশিয়ান বা ভারতীয় বা পাকিস্তানি বোমাটি যখন পড়ে শিয়া-সুন্নী সবাইকেই কিন্তু মারে! মারেনা? এ কারণে আল্লাহ বলেছেন, তোমরা আল্লাহর রজ্জু ধরে রাখো আর বিভক্ত হয়োনা। আর আজ আমাদের মধ্যে বিভক্তি তৈরি করতে ফুটোফাটা খুঁজতে কী পরিমাণ পণ্ডশ্রম প্রতিযোগিতা চলছে। অথচ, যে ব্যক্তি অপর ব্যক্তির দোষ ত্রুটি গোপন রাখবে আল্লাহও বিচারের দিন তার দোষ ত্রুটি গোপন রাখবেন। আল্লাহ আমাদের সত্য বুঝতে সহায়তা করুন।
৬।
তাহলে আমাদের কীভাবে এক হতে হবে? এর সমাধান আল্লাহ রেখে দিয়েছেন। 'এসো সেই কথায় যাতে আমাদের উভয়ের সাদৃশ্য আছে'। আমরা বৈশাদৃশ্যগুলো যেহেতু নিতে পারছিনা বা সেই উদারতা নেই আপাতত, তাই কেবল মিলের কথাই আমরা বলতে পারি। আমাদের কী মিল রয়েছে?
ক) আমরা এ ও অদ্বিতীয় আল্লাহ তায়ালায় বিশ্বাসী, তাঁর ফেরেশতা, নবীকূল ইত্যাদির উপর ঈমান এনেছি
খ) আমরা নবী মুহাম্মাদ স ও তাঁর পরিবারকে আমাদের জীবনের চেয়ে অধিক ভালবাসি। আমাদের জীবনের সর্বোত্তম আদর্শ হযরত মুহাম্মদ (স)।
গ) আমরা সবাই হযরত ঈসা (আ) ও এক প্রতিশ্রুত নেতা মাহদী (আ) এর জন্য অপেক্ষা করছি যারা এসে দাজ্জালের বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্যবদ্ধ করে জেরুজালেম পুনরুদ্ধার করবেন
ঘ)রোহিঙ্গা, কাশ্মীরী, উইঘুরী, ইয়েমেনী, সিরিয়ান, ইরাকী, আফগানী, লিবিয়ান, আফ্রিকান প্রমুখ মুসলিম মজলুমসহ বিশ্বের সকল নিপীড়ত মানুষের পাশে আমাদের দাঁড়ানো আবশ্যক, অথচ আমরা দাঁড়াচ্ছিনা। উঁহ পর্যন্ত আমরা বলছিনা। অথচ 'সমগ্র মুসলমান একটি দেহ' এই হাদিস অনুযায়ী আমাদের মুসলমানিত্ব টিকে থাকা নিয়ে সন্দিহান হওয়ার কথা, তা নিয়ে আমাদের ভাবনা নাই। আমাদের নেতৃত্ব দেয়া দেশগুলোর রাষ্ট্রপ্রধান ইহুদী ও তাদের দোসরদের অন্ধ আনুগত্য করছে। আমাদের অন্তত আমরা একতাবদ্ধতার অভাবে মজলুম এই বোধটুকুও নাই।
ঙ) আমরা পরকালে বিশ্বাস করিম। পৃথিবীর যাবতীয় কাজ কীর্তির হিসাব আমাকে দিতে হবে। আমি শিয়াদের কাফির বললাম আর তাদের ব্যাপারে ঘৃণা ছড়ালাম আর আখেরাতে এ বিষয়ে জবাব দিতে হবেনা এমন আমরা কেউ ভাবিনা। আবার নবী মুহাম্মাদ (স) হিজরতে যাকে সঙ্গে নিয়ে গেলেন সেই আবু বকর রা, যার ঈমান আনার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করেছিলেন সেই উমর রা, আর যার কাছে নবী মুহাম্মাদ স এর দুই কন্যাকে বিয়ে দিয়েছিলেন সেই ঊসমান রা কে গালি দিয়ে, কাফির বলে তার জবাবদিহিতা আল্লাহর কাছে করতে হবে এটাও আমরা বিশ্বাস করি। আমাদের উভয়ের এই তাকফিরি খাসলাত বাদ দেয়া উচিত। কারণ তাকফির উপযুক্ত না হলে তা যে করে তার উপর এসে পড়ে। মহানবী স বেঁচে থাকতে যাঁদের ভালবেসেছেন সেই ভালবাসার প্রতি আমাদের আস্থার সংকট আছে? এই সব বিষয়ে আমাদের জবাব দিতে হবে। আজ যারা ফেসবুকে তাকফির করছেন, শিয়া সুন্নী বিভাজন তৈরি করছেন, ঘৃণা ছড়াচ্ছেন তাদের সবারই কৃতকর্মের ব্যাপারে জবাবদিহি করতে হবে মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে। সেদিন কিন্তু মহানবী স ছাড়া আর কোন সুপারিশকারী থাকবেনা। এই উমর রা বা আলী রা কেউই আমাদের কৃতকর্মের ভাগীদার হবেনা।
৭।
আমাদের মধ্যে অনেক অনেক আলেম রয়েছেন যারা এই শিয়া সুন্নী বিভাজনকে জিইয়ে রাখছেন। খুব কম আলেম রয়েছেন যারা মিমাংসা করতে চান। তাকফিরি সংকীর্ণতা ছাড়তেই পারছেন না। এর মধ্যেই উপগ্রুপ মালেকী, বার ইমামিয়া, জায়েদী, হানাফি ইত্যাদিও তৈরি হলো। এখন আসছে আহলে হাদিস, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত, সালাফি, মডারেট মুসলিম, প্রাক্টিসিং মুসলিম, আরো কত কী! এসব কিছুই ইসলামের মূল স্পিরিট বিরোধী। ইসলাম বিভাজন পছন্দ করেনা, অনুমোদন করেনা। এ বিভাজন বন্ধ করে একতা আনার কথা যাদের সেই আলেম নামধারীদের অনেকেই এই বিভাজন তৈরিতে অগ্রগামী যা দুঃখজনক। এই ফেসবুকে যারা পরস্পরের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করছেন তারাও এসব আলেম নামধারীদের উদ্ধৃত করছেন। শেষ যামানায় আসমান জমিনের মধ্যে 'আলেম নামধারীরা সর্বনিকৃষ্ট হবে' এমন একটি কথা শুনেছিলাম। নিজের পাণ্ডিত্য জাহির করতে উম্মতের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করতে দেখি আর এ কথার সত্যতা অনুধাবন করি। সুবাহান আল্লাহ।
শেষ করবো সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানব, নবীদের শিরোমণি, মহান আল্লাহ পাকের বন্ধু হযরত মোহাম্মদ (স) এর একটি ঘটনা দিয়ে। মদীনায় আনসার ও মুহাজিররা মুহাম্মদ (স) এর নির্দেশে কিছু করছিল। হঠাৎ সেখানে কোন এক আনসার বা মুহাজির সাহাবি অন্যজনকে ' ও আনসার বা মুহাজির" এমনভাবে সম্বোধন করে ডাকলো। জবাবেও আনসার বা মুহাজির বলেই আসলো। মহানবী (স) এর কানে এই শব্দটি গেলো। তিনি বললেন, এই জাহেলী যুগের (মূর্খ যুগের) সম্বোধন বন্ধ করো। এই হচ্ছে নবীজীর শিক্ষা।
আনসার মানে মদীনার আদিবাসী যারা হিজরতকারী মহানবী স এর সঙ্গীদের সাদরে আশ্রয় দেন। আর মুহাজির মানে যারা মক্কা থেকে মদীনায়া মহানবী স এর সঙ্গে আসেন। কোন নেতিবাচক অর্থ নেই শব্দযুগলের। তাহলে কেন মহানবী (স) এই সম্বোধন কে নিষেধ করলেন? কারণ এটি ইসলামের মধ্যে বিভাজন তৈরি করে। সে কারণে সুন্নী, শিয়া, ওহাবী, হানাফি, মালেকী, হাম্বলী, মোহাম্মদী, জায়েদী, সালাফি, ইমামতি ইত্যাদি পরিচয়ে পরিচয় দেয়া ইসলামসম্মত হতে পারে? একটু ভাবুন জাহেলিয়াতের মধ্যে জানতে বা অজান্তে নিমজ্জিত রয়েছেন কী না।
আল্লাহ পবিত্র কোরআনে স্পষ্ট বলেছেন, তোমরা বিশ্বাসী বা মুসলমান না হয়ে আমার কাছে আসোনা। আমাদের আচরণে মনে হয় শিয়া, সুন্নী, সালাফি, আহলে হাদিস, জায়েদী, বারো ইমামিয়া শিয়া, হাম্বলি, হানাফি, দেওবন্দী, বেরেলভি, পীরবাদী ইত্যাদি না হয়ে আল্লাহর কাছে যাওয়া যাবেনা। আল্লাহ আমাদের সকলকে উত্তম বুঝ দান করুন। আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ করুন। আমাদের আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণকারী হিসেবে গ্রহণ করুন। আমিন।
এবং উপরের প্রতিটি বিষয়ে আল্লাহপাক সর্বোত্তম জ্ঞানী।
1 Comments
আমার নাম লিলিয়ান এন। এটি আমার জীবনের খুব আনন্দময় দিন, কারণ ডঃসাগুরু আমাকে আমার প্রাক্তন স্বামীকে তাঁর যাদু এবং প্রেমের জাদুতে ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে আমাকে যেভাবে সাহায্য করেছেন of আমি years বছরের জন্য বিবাহিত ছিলাম এবং এটি এত ভয়াবহ ছিল কারণ আমার স্বামী সত্যিই আমাকে প্রতারণা করছিল এবং একটি তালাক চেয়েছিল কিন্তু যখন আমি ডঃসাগুরু ইমেলটি ইন্টারনেটে এসেছিলাম তখন তিনি কীভাবে এত লোককে তাদের প্রাক্তন ফিরে পেতে সহায়তা করেছিলেন এবং সম্পর্ক ঠিক করতে সাহায্য করুন। এবং মানুষকে তাদের সম্পর্কের সুখী করুন। আমি তার কাছে আমার পরিস্থিতি তাকে ব্যাখ্যা করেছিলাম এবং তারপরে সহায়তা চেয়েছিলাম কিন্তু আমার অবাক করে দিয়ে তিনি আমাকে বলেছিলেন যে তিনি আমার ক্ষেত্রে আমাকে সাহায্য করবেন এবং এখানে আমি এখন উদযাপন করছি কারণ আমার স্বামী পুরোপুরি ভালোর জন্য পরিবর্তিত হয়েছে। তিনি সর্বদা আমার পাশে থাকতে চান এবং আমার উপস্থিতি ছাড়া জি কিছু করতে পারবেন না। আমি সত্যিই আমার বিবাহ উপভোগ করছি, কি দুর্দান্ত উদযাপন। আমি ইন্টারনেটে সাক্ষ্য দিতে থাকব কারণ ডঃসাগুরু সত্যই সত্যই একটি বানান কাস্টার c আপনি এখন ইমেলের মাধ্যমে এখনই যোগাযোগ করতে পারেন ডাক্তার সাগুরুর: drsagurusolutions@gmail.com তিনিই আপনার সমস্যার একমাত্র উত্তর এবং আপনাকে নিজের সম্পর্কের মধ্যে খুশি মনে করেন। এবং তার 1 টি প্রেমের স্পেল 2 এও এক্স এক্স ব্যাক 3 ফ্রিটিতে নিখুঁত WOMB 4 প্রচার স্পেল 5 সুরক্ষা 6 টি ব্যবসায় বিক্রয় 6 ভাল জব 8 লটারি স্পেল এবং কোর্ট স্পেস বিক্রয় EL
ReplyDelete