সর্বশেষ

নোবেল পুরস্কার রাজনীতি এবং পশ্চিমা বুদ্ধিবৃত্তিক দাসত্ব ও দালালী


সাম্প্রদায়িক সংকীর্ণ একপাল ইতর জার্মানির ডিডাব্লিউতে কাজ করে। নোবেল পুরস্কারের ক্ষেত্রেও ধর্ম এনে এদের আসল ধান্ধাবাজ রূপটি আনলো। আর নোবেল কমিটি চিরকাল বিতর্কিত! পশ্চিম ইউরোপ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দালালী কে কতটা নিখঁতভাবে আইডিয়া, উদ্ভাবন দিয়ে করছে সে ততটা নোবেলজয়ী। আচ্ছা, লিবিয়া ধ্বংসকারী ওবামা কীভাবে নোবেল শান্তি পুরস্কার পায়? আচ্ছা, কী কচু করেছে রক্তচোষা ঘৃণাবাদী অং সান সুকি? ড. ইউনুস একজম সুদের মহাজন। তার ক্ষুদ্রঋণ কীভাবে এদেশের দরিদ্র শ্রেণিকে দারিদ্র্যের দুষ্টুচক্রে ফেলছে তা খোঁজ নেন? যৌনবিকারগস্ত ভিডাব্লিউ বাংলার কর্মীদের এই অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের মানসিকতা আছে? অর্থনীতির ইউনুস সুদের মাধ্যমে গ্রামে অশান্তি এনে কীভাবে শান্তিতে নোবেল পেলো? এর পিছনে যে রাজনীতি তাতো ১/১১ তে ইউনুসের নাশ রাজনৈতিক দল খুলে বসাই প্রমাণ করে। প্রথম আলু আর ডেইলি স্টারের সেই মাইনাস টু এজেণ্ডা জনগণ কি ভুলে গেছে? আচ্ছা, ব্রিটিশ ভীত কাঁপিয়ে দেয়া নজরুল ইসলাম নোবেল পায়না কেন আমরা জানি। এটা দেয়া হবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে পশ্চিমের দখলদারত্বকে চ্যালেঞ্জ করেনা এমন কিছু করা কাউকে। এতে করে হবে কী আপনার আমার মগজে পশ্চিম যে 'শ্রেষ্ঠ' এই মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বয়ান বাসা বাঁধবে। এটাই নোবেল পুরস্কারের রাজনৈতিক অর্থনীতি।

২।
 মালালাকে এখানে নোবেল শান্তিতে পুরস্কৃত করা হয় যে পশ্চিমের একনিষ্ঠ দালালনী অথচ ১০ লক্ষ মানুষকে খাবার ভাগ করে খাওয়াতে চাওয়া শেখ হাসিনাকে দেয়া হয়না। এমন কী এঙ্গেলা মারকেলকেও না। এই হচ্ছে নোবেল! যুদ্ধাস্ত্র ডিনামাইট বেচা সুদের টাকা থেকে দেয়া পুরস্কার এ পৃথিবীর কল্যাণে আর কী ভূমিকা রাখবে? দেখেন তো, ইয়েমেনে সৌদি আগ্রাসন নিয়ে কজন নোবেলপ্রাপ্ত সরব? ইয়েমের তাওয়াককুল কারমেইন করছে সৌদি আর আমেরিকার দালালী। ইয়েমেনে সৌদি গণহত্যা নিয়ে এ বেহায়াটি মুখে কুলুপ এঁটেছে।  কজন আফ্রিকায় পশ্চিমা লোপাটের বিরুদ্ধে বলছে? কজন কাশ্মীর আর জিনজিয়াং নিয়ে ভারত আর চীনের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে? ইরাকে-আফগানিস্তানে-ভিয়েতনামে মার্কিন নেতৃত্বাধীন আগ্রাসনে নোবেল পুরস্কার কী অবদান রেখেছে?ফালতু আলাপ বাদ দেন। পশ্চিমা মানসিক দাসত্ব ছাড়ুন।। মানুষের কর্ম ও অবদান বিচার করতে নোবেল পুরস্কার কোন মানদণ্ড নয়, এর কোন বেল নাই। এর কমিটিতে বিতর্কিত লোক ছিলনা যা কিছুদিন আগে ফাঁস হইলো?

৩।
দেখবেন মার্কিন ও পশ্চিম ইউরোপীয় বলয়ের বিরুদ্ধ শক্তির বিরুদ্ধ্ব লেখনীর জন্য, অবস্থানের জন্য এ পুরস্কার দেয়া হয়। আর এর নমিনেশনের ক্ষেত্রেও পশ্চিমা অঘোষিত বলয়রাজনীতি কাজ করে। এই রাজনীতি না বুঝলে চিরকাল অন্যের দাসত্ব করে যেতে হবে। ইরানের শিরিন এবাদিকে পুরস্কার দেয়া হয় সাম্রাজ্যবাদবিরোধী ইরানী ইসলামী বিপ্লবের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করার জন্য। ১৯৭৮ সালে ৭৭ বছর পর প্রথম যে মুসলিম আনোয়ার সাদাতকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেয়া হয় তার কারণ তার ইহুদীবাদী দাসত্বকে মেনে নেয়া। ফিলিস্তিন, সিরিয়া, জর্ডান ও লেবাননের ভূখণ্ড লোপাটকারী সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে স্বীকৃত দেয়া প্রথম আরব দেশ মিশর। আর এর কারিগর এই ইহুদীসেবক আনোয়ার। এমন কী ইয়াসীর আরাফাতকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেয়া হয়, টু স্টেট সলিউশন নামের ইহুদীবাদী প্রজেক্ট মেনে নেয়ার কারণে। এর বিরুদ্ধেই শেখ ইয়াসিনের হাত ধরে হামাসের জন্ম নেয় যারা অবৈধ ইসরায়েলের অস্তিত্বকে মেনে নিতে যৌক্তিক অস্বীকার জানান দেয়। আর এই ডিএনএ, ফিএনএ বলে যা দিচ্ছে এসবও দেখেন পশ্চিমা ল্যাবেই হচ্ছে। রাশিয়া, চীন, তুর্কি, ইরান এবং বাংলাদেশে উদ্ভাবন কিন্তু কম হচ্ছেনা। কিন্তু এখানে ওরা মনোনয়ন দেবেনা। কারণ এতে ওদের বুদ্ধিবৃত্তিক পরাজয় ঘটতে পারে। জলবায়ু সমস্যা মেটাতে পরিবেশবান্ধব সব কিছুর কথা বলা হচ্ছে। পলিথিন ইত্যাদির বিকল্প কিন্তু পাট নন্দিত। অথচ পাটের জিনোম সিকোয়েন্স উদ্ভাবন করে মাকসুদুল কিংবা পাটের পলিথিনের উদ্ভাবক মোবারক কিন্তু মনোনয়ন পায়নি। এমন কী বিশ্বের অন্যতম নামকরা প্লাজমা বিজ্ঞানী জাবির মান্নানও পায়নি নোবেল পুরস্কার। কারণ? এতে করে প্লাজমা গবেষণার প্রদর্শক প্রাচ্য তথা বাংলাদেশ হয়ে যায়। এসব সূক্ষ্ম বিষয় ভাবা না শিখলে আপনাকে আধুনিক অক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন দাস হিসেবে ওপারে যেতে হবে। করুণ ব্যাপার হচ্ছে, আপনি যে দাসত্ব করছেন, মানসিক দাসে পরিণত হয়েছেন তা আপনি টেরই পাচ্ছেন না। পশ্চিমাবলয়ের বই, সিনেমা, মিডিয়া আপনার মগজের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে তাদের পররাষ্ট্রনীতি বা বৈশ্বিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট নীতি আপনার উপর চাপিয়ে দিচ্ছে। আপনি তা মুখস্ত করে, বলে, লিখে বা উপস্থাপন করে জাতে উঠছেন বলে ভাবছেন। আদতে আপনি জাতহীন দাসে পরিণত হচ্ছেন দিন দিন।
পাঠ অনুভূতি

Post a Comment

0 Comments