সর্বশেষ

সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে ভারতীয় আগারওয়াল ও আইসিসির ষড়যন্ত্রের নেপথ্য

সস্তা সহানুভূতি ইত্যাদি  জাতীয় কথা না বলে সাকিব আল হাসানের পাশে দাঁড়ান সবাই, ভাইসব। দীপক আগারওয়াল নামের ঐ জুয়াড়িকে ভারত বা ইংল্যান্ড এজেন্ডা নিয়ে সাকিবের পিছনে লাগিয়ে ছিল কী না এটি নিয়ে আলোচনা তোলেন। এমন কী অথর্ব মাইকেল ভনের সঙ্গে রাজাকার রমিজ রাজারও সাকিবকে নিয়ে টুইটারে বিষোদগার পাকিস্তানের জড়িত থাকার সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দেয়া যায়না। কারণ সাকিব বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। বাংলাদেশের একটি ছেলে ক্রিকেটের তিন ফরমেটেই শ্রেষ্ঠ এটা যারা মেনে  নিতে পারেনা ষড়যন্ত্র তারাই করেছে। অবশ্যই করেছে।  সাকিব মাথা উঁচু করে দেশের জন্য লড়াই করে; সে অন্যায়ের প্রতিবাদ করে; ভারত-পাকিস্তান-ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার মাতব্বরিকে চোখে চোখ রেখে মাঠে ও মাঠের বাইরে চ্যালেঞ্জ করে; সে দেশের বাইরে থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ বাংলাদেশে নিয়ে আসে; সে দেশের সবচেয়ে বেশি কর দাতাদের একজন; সে দেশের ক্রিকেটের স্বার্থে আমূল পরিবর্তন আনতে বিপ্লবী; সে প্রতিবাদী, সরব ও অনমনীয় দেশ ও জাতির প্রতিটি  স্বার্থে। তাই তার শত্রুর অভাব নাই, দেশ ও দেশের বাইরে। ভারতীয় নাগরিক  দীপক আগারওয়ালের হোয়াটসএপ বা ফোন আইসিসি পেয়ে যায় কীভাবে? কীভাবে তার মেসেজে প্রবেশাধিকার পায়? সাকিবের নাম্বার কে দিয়ে দিলো বাটপার আগারওয়ালকে? এই আগারওয়াল আবার আইপিএল নিয়ে উদ্দেশপ্রণোদিত 'কাজের' প্রশ্ন করে। বোঝাই যায়, পুরো বিষয়টি একটি দীর্ঘমেয়াদী ও গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ যাতে না বুঝে পা দিয়েছে সাকিব। এমন ষড়যন্ত্রের কারণ, সাকিবের বৈশ্বিক শ্রেষ্ঠত্ব এবং প্রবল জাতীয়তাবোধ। দেশের জন্য ঘাড়ত্যাঁড়ামী করা মানুষ এই দেশে খুব কম কয়েকজন আছে । তাঁর একজন সাকিব। তাঁর পাশে থাকতে হবে আমাদের। সাকিব আল হাসান এই মুহুর্তে বাংলাদেশই, ঠিক আগের মত।

আর ২২ অক্টোবর যিনি বললেন,''...ম্যাচ ফিক্সিংয়ের খবর আপনারা শিগগিরই পাবেন...", তিনি কেন ২৯ অক্টোবর বললেন,"...এ বিষয়ে (সাকিবের নিষেধাজ্ঞা ইত্যাদি) আমরা কিছুই জানিনা..."???  

 ভারতীয় জুয়াড়ি আগারওয়ালকে কী করেছে আইসিসি? শাস্তি দিয়েছে? নাকি অন্য কোন সাকিবকে আটকাতে তাকে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে? এই প্রশ্নের উত্তরই সাকিব আল হাসানের পাশে দাঁড়ানোর জন্য যৌক্তিকতা নিয়ে আসবে। মনে রাখবেন, সাকিব আল হাসানের অর্থবিত্ত, খ্যাতি, সম্মান কোন কিছুর অভাব নাই। তার ঠ্যাকা পড়েছে জুয়াড়ির সঙ্গে যেচে আলাপনের? সে হয় মজা করেছিল কিংবা এই ফাঁদের ব্যাপারে সচেতন ছিলনা। সাকিবের অধিক ওজন ও গুরুত্ব এবং বাংলাদেশের তরুণদের মধ্যে জাতীয়তাবোধ তৈরি করতে তার আইকন হয়ে ওঠা যাদের জন্য বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষতির কারণ হয়েছে তারাই নীলনকশা করে সাকিবের এই সেরা সময়ে তাকে ও বাংলাদেশকে বিব্রত করলো। ক্রিকেটের এই রাজনৈতিক অর্থনীতি ও সাংস্কৃতিক জটিলতা না ধরতে পারলে আজীবন অন্য জাতির পণ্য হয়ে অন্য জাতির চার-ছক্কা দেখেই হাত তালি দিয়ে যেতে হবে...।
#সাকিব #SAH75 #StandWithSakib #StandWithShakib #IamSakib #Justice4Sakib #ICC #ACU #AUCSU #BCCI #IPL #BCBTigers
পাঠ অনুভূতি

Post a Comment

0 Comments