দেখুন, চারপাশে অসভ্য নারীবিদ্বেষী ইতরদের পৈচাশিক উল্লাস শুরু হয়েছে 'কিশোরী' ভিক্টিমকে ব্লেম করার। মেয়েটি দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়তো মানে এখনো ইমম্যাচিউরড (বয়স ২১ হলেই হয়? একা থাকতো। সিদ্ধান্ত ভুল নেয়ার সম্ভাবনা অধিক। আর দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী যখন এসে নানাভাবে ফুঁসলায় বিয়ে করার কথা বলে মেয়েটি কী করবে? আপনারা বড় মিয়া ও মিয়া সাহেবা কয়জন আছেন টাকার লোভ সামলিয়ে ফেরেশতা আছেন?)।
পেডোফাইল বুড়ো ভাম পুঁজিবাদী ভোগবাদী সায়েম সোবহান আনভীর (৪২ বছরের বুড়া খাটাশ) নাম উঠে এসেছে---সেটি নিয়ে সবার প্রশ্ন, নিন্দা মাতামাতি, প্রতিবাদ প্রয়োজন। কারণ, এ শয়তানরা টাকা দিয়ে মানুষের জীবনকে কেড়ে বা কিনে নেয়---ঘরে স্ত্রী থাকতেও তরুনীদের বিয়ের কথা বলে ভোগ করে।
এরা নিজেদের সমাজের শৃঙ্খলা, নিয়ম, প্রথা বা আইনের ঊর্ধ্বে মনে করে শত শত মেয়েদের জীবন নষ্ট করে, হয়তো এক দুইটা মিডিয়ায় আসে বা আসলেও হারিয়ে যায়---বসুন্ধরার বিজ্ঞাপন যে দরকার বেতন-ভাতার জন্য। এসব সায়েমদের আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য।
আমি মেয়েটিকে নির্দোষ বলছিনা, তার অনৈতিক জীবনযাপনের কলকাঠি যারা নাড়ছে তাদের বড় অপরাধী মনে করি। আর মেয়েটি সায়েমকে ভালোবেসে বিয়ে করার স্বপ্ন দেখেছে এখানে আরেক নারীর ঘর ভাঙার এথিক্যাল প্রশ্ন আসে। কিন্তু এর দায় তো বয়সে পরিপক্ব যে সেই সায়েমের। একই সঙ্গে মেয়েটির পরিবারও আংশিক দায়ী। কিন্তু বারোয়ানা দায় সায়মেএর। এই যে উচ্চবিলাসী জীবনযাপনের প্রতি অন্ধলালসা---এ সমাজকে নষ্ট করতে এটাই যথেষ্ট।
এর আগে আমরা বনানী স্বর্নব্যবসায়ীদের ধর্ষণ দেখেছি। সমাজে অবৈধ আয় ও সম্পদের কারণে সাফাত-সায়েমদের মত ইতর 'চিনি বাবাদের' উদ্ভব হচ্ছে। এসব ধনাঢ্য মামুনুলদের আইনের ঊর্ধ্বে ভাবা মানসিকতায় ছাই দিতে হবে। এদের আইনের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
মিডিয়া যে নির্লজ্জ গোলামী করলো বসুন্ধরার তা মনে থাকবে। মেয়ের নাম পরিচয় সব ফাঁস করলো আর খুনীর ব্যাপারে টুঁ শব্দটিও নেই। ওরে বাটপার! মালিকপক্ষের ঘেউ ঘেউ করা মিডিয়া, জনগণের নয়। টাকার গোলামী করলে অন্য পেশায় যা---সাংবাদিকতায় কেন? এ পেশা থেকে গোলামী চাকরামীর পেশা না।
সুতরাং, অভাবীকে টাকার ফাঁদে ফেলে যে বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম আনভীর চিনি বাবা এই খুনটা পরোক্ষভাবে করলো---তাকে আগে প্রশ্ম করুন, তার টাকা আছে,ক্ষমতা আছে বলে তার ব্যাপারে কবি নীরব হয়ে যাইয়েন না। তার নামও তো মুখে আনতে ডরাচ্ছে কিছু মিডিয়া ও সংশ্লিষ্ট নানা ক্ষেত্র ইত্যাদি! এই অসভ্য সমাজে কেবল মেয়ে আর গরীব হলেই দোষ সব তার উপর পড়ে ,না? এ সমাজে টাকাওয়ালার সাত খুন মাফ, এমনকী ফেসবুক নাগরিকদেরও এই জঘন্য মানসিকতা! কেন?
এই অপমানসিকতাকে দূর করে মেয়েটিকে হত্যার বিচার চান আগে। বসুন্ধরা গ্রুপের মালিক এই পরিবারের হত্যার লিগ্যাসি আছে। এর আগে সাব্বিরকে খুন করে ফেলে আত্মহত্যা হিসেবে চালিয়ে দিয়েছিলো সোবহানের আরেক ছেলে সাফায়েত সোবাহান সানবির। সে যাত্রায় তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চুল খাড়া বাবর টাকা খেয়ে খুনের অভিযোগ থেকে এদের নিস্কৃতি দেয় বলে অভিযোগ আছে। এবার সায়েম সোবহান জড়িত আরেক খুনে। আশা করি এবার খুনী গং আর রক্ষা পাবেনা।
আপনার মধ্যে ন্যায়বোধ ও মানবতা থাকলে আর ত্যাঁনা না পেঁচিয়ে মেয়েটিকে কেন আত্মহত্যা করতে হলো, কেন বসুন্ধরার এমডি গ্রেফতার হচ্ছেনা, কেন গণমাধ্যম খুনের ব্যাপারে সায়েমের বক্তব্যের জন্য তাকে ফোন করে তটস্থ করছেনা---সেই প্রশ্ন তুলুন। একটু মানুষ হন। দোপেয় দৈত্যের জীবন এবার ত্যাগ করুন...। দানবাকৃতির আসামী গংয়ের বিরুদ্ধে মামলা করা সাধারণ মানুষ নুসরাত নামের মেয়েটির জনসমর্থন প্রয়োজন। আপনার সমর্থন, আপনাদের সমর্থন...
0 Comments