বাংলাদেশের রক্তাক্ত স্বাধীনতা অর্জনের পর বঙ্গবন্ধু শেখ #মুজিবুর
রহমান সরকারের কাছে 'স্বীকৃতির ঝুলি' নিয়ে এসেছিল অবৈধ ও সন্ত্রাসী
ইসরাঈল।চিরকাল ফিলিস্তিনের সংগ্রামের সঙ্গে একমত বঙ্গবন্ধু সেই প্রস্তাব
ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেই থামেননি প্রত্যেক বছর ১০ জন করে ফিলিস্তিনীকে
বাংলাদেশে থাকা,পড়া ও সামরিক প্রশিক্ষণেরও ঘোষণা দিয়েছিলেন।তারপর
পাসপোর্টের উপর লিখে দিয়েছিলেন,'ইসরাঈল ছাড়া পৃথিবীর সব রাষ্ট্রে
কার্যকর'।একমাত্র বাংলাদেশের পাসপোর্টে ইসরাঈলকে এভাবে অস্বীকার করে
হয়েছে।বাংলাদেশী বাঙালির হিম্মত এমন!লড়াই যার রক্তে মিশে থাকে সে কোনদিন
দখলদারের চোখ রাঙানিতে ডরায়?আমরাও ডরাইনি,ডরাবোনা।আজও ভয় পাইনি। শুধু অবাক হয়েছি আমাদের স্থপতির কাছে পরাজিত হয়ে আজ আমাদের কাছে এসেছে ষড়যন্ত্রের পসরা সাজিয়ে। পৃথিবীর অভিশাপ এ জায়োনিস্ট ইহুদীরা ভয়ঙ্কর খুনী। লেবাননের রফিক হারিরি হত্যা, ৯/১১ হামলা,ফিলিস্তিনপন্থী বাদশাহ ফয়সাল হত্যায় যারা জড়িত তারা যে বাংলাদেশের ব্যাপারে নিরব এটি ভাবা এতদিন ভুল ছিল। কারণ সিআইএ এবং মোসাদ সৃষ্টির শুরু থেকে একসাথে কাজ করে আসছে।আচ্ছা, বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডে
CIA,ISI ও MOSSAD কি একসাথে কাজ করেছিল? কেন সেসময় ভারতীয় সেনাবাহিনী বাংলাদেশের স্থপতির নির্মম হত্যাকান্ড নিরবে উপভোগ করেছিল?
২।
২০১৪ সালের মাঝামাঝিতে অবৈধ ইসরাঈল যখন ফিলিস্তিনের গাজার নিরীহ মানুষের উপর হামলা করতে থাকে তখন বাংলাদেশের মানুষ রাস্তায় নেমে এর প্রতিবাদ জানায়।সে বছর জাতিসংঘের অধিবেশনে সারা বিশ্বের মোড়লদের সামনে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ #হাসিনা দ্ব্যর্থহীন কন্ঠে ইসরাঈলের সন্ত্রাসী কার্যক্রমের নিন্দা জানান।এটি ছিল জাতিসংঘে ভরা মজলিসে অত্যাচারী, আগ্রাসী ইসরাঈলের মুখে চপেটাঘাত।কোথায় ছিল তখন এই এরদোগান?নওয়াজ?সালমান? তখন থেকেই কি সন্ত্রাসী ইহুদীরা শেখ হাসিনাকে হত্যার কুপরিকল্পনা শুরু করে?বাংলাদেশের স্থপতির প্রতি যে ক্ষোভ মোসাদের ছিল সেই ক্ষোভ তার কন্যার প্রতি চলে এসেছে এটা নিশ্চিত।আমাদের এখনই সতর্ক হতে হবে।গুপ্তহত্যায় এই বর্বর সন্ত্রাসী মোসাদ সবার চেয়ে এগিয়ে।জেরুজালেম অনলাইনে জায়োনিস্ট টেররিস্টরা স্পষ্ট লিখে দিছে এই সরকারকে 'Topple' করতে কাজ করছে মেনদি নামের এক ইহুদী।ওরা বঙ্গবন্ধুর সহচর ইয়াসির আরাফাতকে হত্যা করেছে,মোসাদ ও এর মিত্রদের সহযোগিতায় বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে।এবার ওদের দৃষ্টি কি বঙ্গবন্ধুর মত আত্মমর্যাদাশীল রাষ্ট্রপ্রধান তাঁর কন্যার প্রতি?আমাদের ভাবার সময় এসেছে।ইহুদী সন্ত্রাসী ও তাদের এদেশীয় দোসরদের মোকাবেলায় প্রস্তুতি নিন। আমরা এখন ওদের War on Terrorism নামের সন্ত্রাসী প্রকল্পের আওতায় চলে এসেছি।দেশ,জাতিকে বাঁচাতে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে আমাদের।হাতে সময় একদম কম। শত্রু নি:শ্বাস ফেলছে কাঁধে!সেই নি:ম্বাস জুড়ে তেল আবিভের সন্ত্রাসী বারুদের বার্তা!
২।
২০১৪ সালের মাঝামাঝিতে অবৈধ ইসরাঈল যখন ফিলিস্তিনের গাজার নিরীহ মানুষের উপর হামলা করতে থাকে তখন বাংলাদেশের মানুষ রাস্তায় নেমে এর প্রতিবাদ জানায়।সে বছর জাতিসংঘের অধিবেশনে সারা বিশ্বের মোড়লদের সামনে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ #হাসিনা দ্ব্যর্থহীন কন্ঠে ইসরাঈলের সন্ত্রাসী কার্যক্রমের নিন্দা জানান।এটি ছিল জাতিসংঘে ভরা মজলিসে অত্যাচারী, আগ্রাসী ইসরাঈলের মুখে চপেটাঘাত।কোথায় ছিল তখন এই এরদোগান?নওয়াজ?সালমান? তখন থেকেই কি সন্ত্রাসী ইহুদীরা শেখ হাসিনাকে হত্যার কুপরিকল্পনা শুরু করে?বাংলাদেশের স্থপতির প্রতি যে ক্ষোভ মোসাদের ছিল সেই ক্ষোভ তার কন্যার প্রতি চলে এসেছে এটা নিশ্চিত।আমাদের এখনই সতর্ক হতে হবে।গুপ্তহত্যায় এই বর্বর সন্ত্রাসী মোসাদ সবার চেয়ে এগিয়ে।জেরুজালেম অনলাইনে জায়োনিস্ট টেররিস্টরা স্পষ্ট লিখে দিছে এই সরকারকে 'Topple' করতে কাজ করছে মেনদি নামের এক ইহুদী।ওরা বঙ্গবন্ধুর সহচর ইয়াসির আরাফাতকে হত্যা করেছে,মোসাদ ও এর মিত্রদের সহযোগিতায় বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে।এবার ওদের দৃষ্টি কি বঙ্গবন্ধুর মত আত্মমর্যাদাশীল রাষ্ট্রপ্রধান তাঁর কন্যার প্রতি?আমাদের ভাবার সময় এসেছে।ইহুদী সন্ত্রাসী ও তাদের এদেশীয় দোসরদের মোকাবেলায় প্রস্তুতি নিন। আমরা এখন ওদের War on Terrorism নামের সন্ত্রাসী প্রকল্পের আওতায় চলে এসেছি।দেশ,জাতিকে বাঁচাতে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে আমাদের।হাতে সময় একদম কম। শত্রু নি:শ্বাস ফেলছে কাঁধে!সেই নি:ম্বাস জুড়ে তেল আবিভের সন্ত্রাসী বারুদের বার্তা!
![]() |
| সর্ববামে লিকুদ পার্টির নেতা মেনদি সাফাদি এবং সর্ব ডানে বাংলাদেশে মোসাদ ও ইসরাঈলের হয়ে কাজ করা সিপান বসু।ছবি/যুগান্তর। |
৩।
এই দেশে অবৈধ ইসরাঈলী সমর্থক সালাহ উদ্দিন শোয়েব থেকে শুরু।সর্বশেষ এতে যুক্ত হয়েছে জনৈক #সিপান বসু।সাফাদি সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল ডিপ্লোমেসি অ্যান্ড অ্যাডভোকেসি’র প্রধান মেন্দি সাফাদি তার সাম্প্রতিক ভারত সফরে এসব বিষয়ে আলোচনা করেছেন।এদের গ্রেফতার করে দেশ থেকে কুখ্যাত মোসাদের শিকড় উপড়ে ফেলতে হবে।মনে রাখতে হবে #মোসাদ যেদেশে সক্রিয় হয় সেদেশের সবকিছু মন্থর হয়ে যায়।মোসাদ দ্বন্দ্ব তৈরি করবে ঘরের মধ্যে,ভাইয়ের কাছে ভাইয়ের রক্ত মিঠা লাগে মোসাদের আগমনে।তারপর জায়োনিস্টদের হাতে থাকা মিডিয়া তা অতিরঞ্জিত করে প্রকাশ করবে।তারপর দেশে বিভাজনের খেলা শুরু হবে।Moderate Vs Extremist, Islamist Vs Secularist, শিয়া বনাম সুন্নী, আহলে হাদীস বনাম সুন্নী, তাবলীগ বনাম জামায়াত ,আইএস বনাম আল কায়েদা এবং সর্বশেষ উত্তর বাংলাদেশ বনাম দক্ষিণ #বাংলাদেশ।দেশে গৃহযুদ্ধ অথবা NATO জোটের হামলা অথবা ভারতীয় সেনাবাহিনীর অনুপ্রবেশ ঘটবে।অতএব এখনই সরকারকে কঠোর হতে হবে।যতবড় প্রভাবশালী কেউ হোক না কেন যার যার সম্পৃক্ততা মোসাদের সঙ্গে পাওয়া যাবে সবাইকে অতি দ্রুত গ্রেফতার করে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে বিচার করা হোক।আমরা বাংলাদেশে খুনী ও বর্বর,সুদখোর,রক্তখেকো ইহুদী জায়োনিস্টদের কোন সমর্থক দেখতে চাইনা।সেটা মুসলিম নামধারী সালাহ উদ্দিন #শোয়েব কিংবা সনাতন ধর্মী নামধারী #শিপান বসুই হোক। #আসলাম নামের যত বড় দলের লোক হোক না কেন তাকে ছাড় দেয়া হবেনা। একইভাবে ইসলামের কাঁধে বন্দুক রেখে যারা ইসলামের সবচেয়ে বড় শত্রু ইসরাঈলের সঙ্গে হাত মিলাতে পারে তারা বাংলাদেশী বাঙালি এবং মানবতা ও ইসলামের শত্রু।বাংলাদেশের শত্রু। এদের ধরে জবাবদিহির মাধ্যমে সরকার পতনে কাজ করা পুরো নেটওয়ার্ক বের করে ফেলতে হবে।যত দ্রুত এ কাজ করা হবে তত দেশের জন্য মঙ্গলজনক হবে।
৪।
অবৈধ ইসরাঈলের জেরুজালেম অনলাইন জানিয়েছে,বর্তমান সরকার পতনের জন্য চলমান ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের জন্য জায়োনিস্ট মেন্ডি সাফাদি ভারতের নয়াদিল্লীতে একাধিক মিটিং করে।সেখানে বাংলাদেশের ইহুদীপন্থী ও মোসাদের এজেন্টরাও যোগ দেয়।আমার বিশ্বাস মোসাদের এই ষড়যন্ত্রের সাথে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা RAW ও জড়িত।কারণ ভারত ও ইসরাঈল পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি অস্ত্র বাণিজ্য করে।ভারতের অধিকাংশ অস্ত্র ও প্রযুক্তি আসে ইসরাঈল থেকে। MOSSAD ও RAW সেই ১৯৪৮ সাল থেকেই একসাথে কাজ করছে। তো RAW কে না জানিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের বিষফোঁড়া সন্ত্রাসী #ইসরাঈল এশিয়ায় কোন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবে কি?কিছুতেই না।আমার মতে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে RAW,MOSSAD ও CIA একসঙ্গে ষড়যন্ত্র করছে।সে ষড়যন্ত্রের শিকড় ইসরাঈল থেকে নয়াদিল্লী পর্যন্ত বিস্তৃত। এত সরলভাবে নিলে চলবেনা। চিরকাল ভীষণ শত্রুরা বিভীষণ বেশেই থাকে!
৫।
এই দেশে হত্যাকান্ড ঘটে আর ওয়াশিংটনে বসে আইএস স্বীকারক্তি দেয়।সেই স্বীকারক্তির কথা প্রকাশ করা SITE Intelligence এর কথা মনে আছে?এর কর্ণধারের নাম Rita Katz যে একজন ইহুদী এবং যার পুরো পরিবারকে ইরাক থেকে ইসরাঈলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে বহিষ্কার করে সাদ্দাম সরকার।সেই রিটা আর আজকে মোসাদের ষড়যন্ত্র এর মধ্যে মিল খুঁজে পাচ্ছেন তো?
আচ্ছা,বাংলাদেশে আইএসের অস্তিত্ত্ব প্রমাণে উঠে পড়ে লাগা #পত্রিকাটি কি 'সরকার উত্খাতে মোসাদের ষড়যন্ত্র 'শীর্ষক সংবাদটি এখনো করেছে কি?নাকি করবেনা?। কারণ এর আগে এরা কথিত #আইএস ইস্যুতে যতগুলো সংবাদ প্রচার করে বাংলাদেশের নেতিবাচক ইমেজ তৈরি করেছে তার সবগুলোর সোর্স রয়টার্স এবং বরাত দিয়েছে সাইট। তো সামান্য সাইটের তথ্য দিয়ে সংবাদ করা যেতে পারে আর দখলদার ইসরাঈলে অভ্যন্তর থেকে পরিচালিত সংবাদের উপর ভিত্তি করে সরকার পতন নিয়ে নিউজটা করা যাবেনা?নাকি এতে নিজেদের থলের কোন বিড়াল বেরিয়ে যাবে। “মাইনাস টু”ফরমুলাওয়ালাদের আমরা এখনো ভুলি নাই।
জানেন কি
ব্রিটেনভিত্তিক এই রয়টর্স এর প্রতিষ্ঠাতা Paul Julius Reuter ছিলেন একজন
ইহুদি। তার আসল নাম Israel Josaphat।ইহুদী হিসেবে তার এজেন্সিকে কেউ
অবিশ্বাস করে নাকি তাই খ্রীষ্টান নাম নিয়ে নিজেদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে
রয়টর্স।তার পিতা ছিল একজন ইহুদী কট্রর রাবাই। তো বুঝেন এদেশের মিডিয়া ও
নামকরা সুশীল পত্রিকা কার বরাত দিয়ে বাংলাদেশ বিরোধী প্রচারণা চালায়। এই
সাইট, রয়টর্স এবং তাদের বরাতে আস্থা রাখা পত্রিকাগোষ্ঠী, শিপন , শোয়েব এরা
সবাই বাংলাদেশের জন্য হুমকি। জাতীয় নিরাপত্তার জন্য এদের যড়যন্ত্রের
ব্যাপারে সরকারের প্রতিটি গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা বাহিনীর সজাগ দৃষ্টি রাখবে
এমনটা্ আশা করি।আইএস যেমন মোসাদের ছকে কাজ করছে, আইএসকে মিডিয়া কাভারেজ দেয়া গোষ্ঠীও সেই একই ছকে কাজ করছে। আর এই ছক লাল-সবুজ পতাকার বিরুদ্ধে, নিরপরাধ মানুষের বিরুদ্ধে।সেই ছক এবং নীল নকশাকে নস্যাৎ করে দিতে হবে-যতদ্রুত সম্ভব।
৬।
সরকার উৎখাতের এই পরিকল্পনায় কথিত “সংখ্যালঘু” ইস্যূটিকে মোসাদ ও ইসরাঈল গুরুত্ত্ব দিয়েছে বলে জেরুজালেম অনলাইনের প্রতিবেদনটিতে দেখলাম। এই বর্ণবাদী ইস্যুটি নিয়ে যারা কাজ করেন এদের আন্তর্জাতিক প্রভুরা কারা সেটি বের করতে হবে। বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ ও সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র হিসেবে যারা দেখাতে চায় তারা এই সরকার, এই দেশ ও এই মাটি সবার জন্য ক্ষতিকর। যে খুন হয় সে ভিকটিম।যে খুন করে সে অপরাধী্। ভিকটিম ও অপরাধীর পরিচয়ে কেন সংখ্যালঘু ও সংখ্যাগরিষ্ঠ আনা হবে?তারমানে যখন সংখ্যালঘু কেউ খুন হবে আপনি কথা বলবেন আর যখন সংখ্যাগুরু খুন হবে মুখে কুলুপ আঁটবেন?এটাই তো বর্ণবাদ।যখন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কিংবা জুলহাস খুন হয় তারাতো সংখ্যাগরিষ্ঠ। তাদের ব্যাপারে আপনি নিরব থাকবেন?না, আপনি যদি সত্যিকার মানবতাবাদী হন তবে অপরাধীর ও আক্রান্তের কোন ধর্মীয় ও লিঙ্গগত বর্ণবৈষম্য তৈরি করবেননা। মনে রাখবেন স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সেই বিখ্যাত উক্তি-
পৃথিবী আজ দুইভাগে বিভক্ত। শোষক ও শোষিত। আমি শোষিত’র পক্ষে। এটাই আমার কাছে মানবতার চমৎকার মানদন্ড। আপনি দেখবেন কে শোষিত হচ্ছে, নিপীড়িত হচ্ছে। আপনি কেন খোঁজেন শোষিতের ধর্ম, তার লিঙ্গ?বর্ণবাদী শোষণ মাথায় নিয়ে ঘুরে শোষণের বিরুদ্ধে কথা বলা শোভা পায়না, হে সংখ্যালঘু , হে সংখ্যাগুরু ব্যবসায়ী।
৭।
বাংলাদেশ চিরকাল # অসাম্প্রদায়িক একটি দেশ। এই দেশে গোটা ভারতবর্ষের মত ইংরেজরা দখলদারিত্ত্ব ও সন্ত্রাসবাদীতা চালানোর পরেও কোনদিন কোন সাম্প্রদায়িক সহিংসতা হয়নি।যা হয়েছে তা অতিরঞ্জন। বাবরী মসজিদ যখন ভারতের শিবসেনা অসুস্থরা ভেঙে ফেলে তখনও বাংলাদেশের মানুষ নিজেদের পাশের ঘরের হিন্দু-ভাইবোনকে নিয়ে এর প্রতিবাত করেছে শান্তিপূর্ণভাবে। সুতরাং এটি কোন ইস্যু না। এটি নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে দেশের ও দেশের মানুষের জীবনব্যবস্থার কিভাবে উন্নয়ন করা যায় সেটি নিয়ে ভাবতে হবে।বাংলাদেশের বর্তমান সরকার স্থিতিশীল একটি রাজনৈতিক ব্যবস্থা তৈরি করেছে। অপ্রিয় হলেও সত্য মানুষ রাজনৈতিক সহিংসতাযুক্ত গণতন্ত্র থেকে এই অথোরিট্যারিয়্যান গণতন্ত্রকে বেশি পছন্দ করছে।আপনি জরিপ করে দেখতে পারেন।সরকার যদি বেকারত্ত্বের হারটি কমিয়ে আনতে পারে তবে এই দেশে আর কোন রাজনৈতিক সহিংসতা থাকবে বলে মনে হয়না। আর এখানেই আধিপত্যবাদী ভারতের ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দু:শ্চিন্তা। যেকোন দেশে একটি সরকার দীর্ঘস্থায়ী হয়ে গেলে সে জনগণের শক্তিতে বলীয়ান হয়। বাইরের কোন শক্তির নাক গলানো সে নিতে চায়না। একটি রাজনৈতিক স্থিতিশীল বাংলাদেশকে কখনোই দেখতে চায়না প্রতিবেশী ভারত। কারণ তার খবরদারি তাহলে থাকেনা। তাছাড়া যে সরকার প্রধান বঙ্গবন্ধু কন্যা তাঁর কাছ থেকে অন্যায় সুবিধা নেয়াও সম্ভব নয়। ভারত ও “র” জানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই মহান ব্যক্তির কন্যা যিনি পাকিস্তানী খুনীদের জেল থেকে ছাড়া পেয়ে ভারতে গিয়ে ইন্দিরা গান্ধীকে মুখের উপর প্রথম যে কথাটি বলেছিলেন তা ছিল-
“আমার দেশ থেকে কবে আপনি সৈন্য প্রত্যাহার করবেন?”
অতএব মোসাদ এবং র এবং আইএসআই এবং সিআইএ এই চারটি গোয়েন্দা সংস্থা থেকেই সাবধান থাকতে হবে।দেশের নিরাপত্তা বাহিনী এবং সকল গোয়েন্দা বাহিনীকে এক হয়ে বহি:শত্রুদের মোকাবেলায় সদা প্রস্তুত থাকতে হবে। আর আমরা যারা সাধারণ মানুষ আছি , আমাদেরও সচেতন থাকতে হবে। মনে রাখবেন এই দেশে অশান্তি এলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবো আমরা-আমজনতা। দেশের বিরুদ্ধের ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রে তাই আমরা কিছুতেই নিরব থাকতে পারিনা। সচেতনতার সাথে আমাদের তথ্য সন্ত্রাস প্রতিহত করতে হবে। তবেই লাল-সবুজ পতাকা নিশ্চিন্তে , নির্বিঘ্নে পতপত করে বাংলাদেশের প্রতিটি হৃদয়ে উড়বে...।
৬।
সরকার উৎখাতের এই পরিকল্পনায় কথিত “সংখ্যালঘু” ইস্যূটিকে মোসাদ ও ইসরাঈল গুরুত্ত্ব দিয়েছে বলে জেরুজালেম অনলাইনের প্রতিবেদনটিতে দেখলাম। এই বর্ণবাদী ইস্যুটি নিয়ে যারা কাজ করেন এদের আন্তর্জাতিক প্রভুরা কারা সেটি বের করতে হবে। বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ ও সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র হিসেবে যারা দেখাতে চায় তারা এই সরকার, এই দেশ ও এই মাটি সবার জন্য ক্ষতিকর। যে খুন হয় সে ভিকটিম।যে খুন করে সে অপরাধী্। ভিকটিম ও অপরাধীর পরিচয়ে কেন সংখ্যালঘু ও সংখ্যাগরিষ্ঠ আনা হবে?তারমানে যখন সংখ্যালঘু কেউ খুন হবে আপনি কথা বলবেন আর যখন সংখ্যাগুরু খুন হবে মুখে কুলুপ আঁটবেন?এটাই তো বর্ণবাদ।যখন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কিংবা জুলহাস খুন হয় তারাতো সংখ্যাগরিষ্ঠ। তাদের ব্যাপারে আপনি নিরব থাকবেন?না, আপনি যদি সত্যিকার মানবতাবাদী হন তবে অপরাধীর ও আক্রান্তের কোন ধর্মীয় ও লিঙ্গগত বর্ণবৈষম্য তৈরি করবেননা। মনে রাখবেন স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সেই বিখ্যাত উক্তি-
পৃথিবী আজ দুইভাগে বিভক্ত। শোষক ও শোষিত। আমি শোষিত’র পক্ষে। এটাই আমার কাছে মানবতার চমৎকার মানদন্ড। আপনি দেখবেন কে শোষিত হচ্ছে, নিপীড়িত হচ্ছে। আপনি কেন খোঁজেন শোষিতের ধর্ম, তার লিঙ্গ?বর্ণবাদী শোষণ মাথায় নিয়ে ঘুরে শোষণের বিরুদ্ধে কথা বলা শোভা পায়না, হে সংখ্যালঘু , হে সংখ্যাগুরু ব্যবসায়ী।
৭।
বাংলাদেশ চিরকাল # অসাম্প্রদায়িক একটি দেশ। এই দেশে গোটা ভারতবর্ষের মত ইংরেজরা দখলদারিত্ত্ব ও সন্ত্রাসবাদীতা চালানোর পরেও কোনদিন কোন সাম্প্রদায়িক সহিংসতা হয়নি।যা হয়েছে তা অতিরঞ্জন। বাবরী মসজিদ যখন ভারতের শিবসেনা অসুস্থরা ভেঙে ফেলে তখনও বাংলাদেশের মানুষ নিজেদের পাশের ঘরের হিন্দু-ভাইবোনকে নিয়ে এর প্রতিবাত করেছে শান্তিপূর্ণভাবে। সুতরাং এটি কোন ইস্যু না। এটি নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে দেশের ও দেশের মানুষের জীবনব্যবস্থার কিভাবে উন্নয়ন করা যায় সেটি নিয়ে ভাবতে হবে।বাংলাদেশের বর্তমান সরকার স্থিতিশীল একটি রাজনৈতিক ব্যবস্থা তৈরি করেছে। অপ্রিয় হলেও সত্য মানুষ রাজনৈতিক সহিংসতাযুক্ত গণতন্ত্র থেকে এই অথোরিট্যারিয়্যান গণতন্ত্রকে বেশি পছন্দ করছে।আপনি জরিপ করে দেখতে পারেন।সরকার যদি বেকারত্ত্বের হারটি কমিয়ে আনতে পারে তবে এই দেশে আর কোন রাজনৈতিক সহিংসতা থাকবে বলে মনে হয়না। আর এখানেই আধিপত্যবাদী ভারতের ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দু:শ্চিন্তা। যেকোন দেশে একটি সরকার দীর্ঘস্থায়ী হয়ে গেলে সে জনগণের শক্তিতে বলীয়ান হয়। বাইরের কোন শক্তির নাক গলানো সে নিতে চায়না। একটি রাজনৈতিক স্থিতিশীল বাংলাদেশকে কখনোই দেখতে চায়না প্রতিবেশী ভারত। কারণ তার খবরদারি তাহলে থাকেনা। তাছাড়া যে সরকার প্রধান বঙ্গবন্ধু কন্যা তাঁর কাছ থেকে অন্যায় সুবিধা নেয়াও সম্ভব নয়। ভারত ও “র” জানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই মহান ব্যক্তির কন্যা যিনি পাকিস্তানী খুনীদের জেল থেকে ছাড়া পেয়ে ভারতে গিয়ে ইন্দিরা গান্ধীকে মুখের উপর প্রথম যে কথাটি বলেছিলেন তা ছিল-
“আমার দেশ থেকে কবে আপনি সৈন্য প্রত্যাহার করবেন?”
অতএব মোসাদ এবং র এবং আইএসআই এবং সিআইএ এই চারটি গোয়েন্দা সংস্থা থেকেই সাবধান থাকতে হবে।দেশের নিরাপত্তা বাহিনী এবং সকল গোয়েন্দা বাহিনীকে এক হয়ে বহি:শত্রুদের মোকাবেলায় সদা প্রস্তুত থাকতে হবে। আর আমরা যারা সাধারণ মানুষ আছি , আমাদেরও সচেতন থাকতে হবে। মনে রাখবেন এই দেশে অশান্তি এলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবো আমরা-আমজনতা। দেশের বিরুদ্ধের ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রে তাই আমরা কিছুতেই নিরব থাকতে পারিনা। সচেতনতার সাথে আমাদের তথ্য সন্ত্রাস প্রতিহত করতে হবে। তবেই লাল-সবুজ পতাকা নিশ্চিন্তে , নির্বিঘ্নে পতপত করে বাংলাদেশের প্রতিটি হৃদয়ে উড়বে...।

0 Comments